আজ বুধবার, সোনার দাম ২৪ ক্যারেটের জন্য ১০ টাকা (Gold Silver Price) বেড়েছে। ১০ গ্রাম সোনার দাম এখন ৮৭,৩৯০ টাকা। এদিন, রুপোর দাম ১০০ টাকা কমে গেছে। এক কিলো রুপোর দাম এখন ৯৬,৮০০ টাকা। ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১০ টাকা বেড়েছে। ১০ গ্রাম সোনা ৮০,১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুম্বাই, কলকাতা এবং চেন্নাইয়ে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৮৭,৩৯০ টাকা। দিল্লিতে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম কিছুটা বেশি, ৮৭,৫৪০ টাকা। ২২ ক্যারেট সোনার দাম মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং হায়দ্রাবাদে ৮০,১১০ টাকা। দিল্লিতে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৮০,২৬০ টাকা।
দিল্লিতে এক কিলো রুপোর দাম ৯৮,১০০ টাকা, তবে কলকাতা ও মুম্বাইতে এর দাম ৯৬,৮০০ টাকা। চেন্নাইতে এক কিলো রুপোর দাম কিছুটা বেশি, ১,০৭,১০০ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সোনার দাম কিছুটা নিচে নেমেছে, কারণ মার্কিন ট্রেজারি সিকিউরিটিজের ফলন বেড়েছে। এদিকে, ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ সম্পর্কিত আলোচনার কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং মুদ্রাস্ফীতির উপর প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্পট সোনার দাম ০.১ শতাংশ কমে $২,৯১৬.০৯ প্রতি আউন্সে দাঁড়িয়েছে। ইউএস সোনার ফিউচার ০.২ শতাংশ বেড়ে $২,৯২৬.১০ প্রতি আউন্সে উঠেছে।
স্পট রুপো ০.২ শতাংশ কমে $৩১.৯০ প্রতি আউন্সে নেমেছে, প্লাটিনামের দাম ০.২ শতাংশ কমে $৯৫৮.৭৫ প্রতি আউন্স এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০.৩ শতাংশ কমে $৯৩৯.০০ প্রতি আউন্সে দাঁড়িয়েছে।
এদিন, সোনার দাম বৃদ্ধি হলেও রুপোর দাম কমে যাওয়ার কারণে ক্রেতারা কিছুটা অসন্তুষ্ট। তবে সোনার দাম বাড়ার কারণে সোনার ব্যবসায়ীরা কিছুটা লাভে রয়েছেন। সোনা সাধারণত এক ধরনের নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়, তাই সোনার দাম বাড়লে সাধারণত বিনিয়োগকারীরা এটি কিনতে আগ্রহী হন। তবে, রুপোর দাম কমে যাওয়ার কারণে রুপোর ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বিশ্বব্যাপী সোনার দাম নির্ধারণে মার্কিন ডলারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন ডলারের মান বৃদ্ধির কারণে সোনার দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে যদি ডলারের দাম কমে যায়, তাহলে সোনার দাম বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতি এবং ট্রাম্পের ট্যারিফের সিদ্ধান্ত সোনার দামকে প্রভাবিত করতে পারে।
দেশের সোনার বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও সোনার দাম ওঠানামা করছে। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বাড়ে, তখন দেশের বাজারেও তার প্রভাব পড়তে থাকে। তবে দেশের অভ্যন্তরে সোনার দাম কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল নয়, দেশীয় অর্থনীতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং অন্যান্য কারণও এর ওপর প্রভাব ফেলে।
আগামীতে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। তবে, রুপোর দাম যদি আরো কমে যায়, তাহলে সাধারণ মানুষ সোনা এবং রুপোর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবেন না। সোনার প্রতি মানুষের আগ্রহ সবসময় থাকে, বিশেষ করে গহনা এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী তৈরির ক্ষেত্রে। তবে, সোনার দাম এবং রুপোর দাম ওঠানামা করা মানে এটি কেবলমাত্র বিনিয়োগ নয়, এটি আমাদের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এদিকে, সোনার দামের এই ওঠানামা অর্থনীতিতে নতুন করে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ব্যবসায়ীরা এখন সোনার দাম সম্পর্কে আরও সতর্ক হয়ে উঠেছেন এবং তারা সঠিক সময়ে কেনাবেচা করতে চান। যদিও সোনার দাম বৃদ্ধি কিছু মানুষের জন্য লাভজনক, তবুও অধিকাংশ মানুষের জন্য এটি কষ্টকর হতে পারে।
এমনকি যারা সোনা জমিয়ে রাখেন তারা কিছুটা লাভের আশায় থাকেন। তবে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যদি আবার খারাপ হয়, তাহলে সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়ে আরও অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।