Goa : আরব সাগরের নোনা জলে সাফ হচ্ছে ঘাসফুল

বিধানসভা জিতেই জাতীয় স্তরে চলে গিয়েছিল তৃণমূল। ত্রিপুরার পর গোয়াতেও (Goa) হাজির তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধিরা৷ শনিবার প্রকাশিত হয়েছে ভোটের নির্ঘন্ট। আদৌ কি কোনো কাজে আসবে…

Goa

বিধানসভা জিতেই জাতীয় স্তরে চলে গিয়েছিল তৃণমূল। ত্রিপুরার পর গোয়াতেও (Goa) হাজির তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধিরা৷ শনিবার প্রকাশিত হয়েছে ভোটের নির্ঘন্ট। আদৌ কি কোনো কাজে আসবে তৃণমূলের এতো ছুটোছুটি, থাকছে প্রশ্ন।

নিজ রাজ্যে জয়ের হ্যাটট্রিক করার পরেই সাড়া ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল। গোয়াতে গিয়েছিল স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কংগ্রেসে (Congress) ভাঙন ধরিয়ে তুলে নিয়েছিলেন লুইজিয়ানহো ফার্নান্ডেজকে৷ অনুঘটকের কাজ করেছিকেন ডেরেক ও’ ব্রায়েন। সেই সময় ‘গোয়ায় তৃণমূল’ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালিখি হয়েছিল বিস্তর। এখন যেন ভাটার টান। কমেছে আলোচনা।

   

গোয়ায় তৃণমূলের দায়িত্বে থাকা নেত্রী মহুয়া মৈত্র এর আগে মন্তব্য করেছিলেন যে তাঁর দল কংগ্রেস ও গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির সঙ্গে প্রাকনির্বাচনী জোট গড়তে প্রস্তুত ছিল। তৃণমূলের সাক্ষাৎ এড়িয়েছিল ফরোয়ার্ড ব্লক। দলের কোনও প্রতিনিধিই দেখা করেননি মমতার সঙ্গে। পরে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট করেছে তৃণমূল। যদিও ঘাসফুল শিবিরকে পাত্তাই দিচ্ছে না গোয়া কংগ্রেস। পি চিদম্বরম তৃণমূলের সঙ্গে সাঁটিয়ে দিয়েছিলেন ‘প্রান্তিক’ লেবেল।

পাঞ্জাবের মতো গোয়াও কংগ্রেসের অন্যতম মূল ভোট ব্যাঙ্ক। অন্য রাজ্যের কোনো দল এসে তা ছিনিয়ে নেবে তা নিশ্চয় বরদাস্ত করবে না হাত শিবির। তবে বিজেপিকে ঠেকাতে সুর নরম করেছেন চিদম্বরম৷ বলেছেন, ‘গোয়ায় নিজের দমেই বিজেপিকে হারাতে পারে কংগ্রেস। তবে বিজেপিকে হারাতে যদি কোনো দল কংগ্রেসকে সমর্থন করতে চায়, তাহলে তাদের স্বাগত জানানো হবে।’

আরব সাগর পারে গিয়ে তৃণমূল যতই চেষ্টা চালাক না কেন, তাদের বারংবার এটাই বোঝানো হচ্ছে, ‘তোমরা বহিরাগত’। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছিলেন, ডেরেককে সামনে রেখে তৃণমূল খেলতে চাইছে ধর্মের তাস। ক্যাথলিক ভোট টানার প্রয়াসে মমতার চার্চে গমন। এই একই ট্যাক্টিস পশ্চিমবঙ্গে নিয়েছিল বিজেপি৷ যার ফল মিলেছে ২ মে। যে স্বপ্নের ফানুসে ভর করে গোয়ায় পাড়ি দিয়েছিল তৃণমূল, তা শীঘ্রই নেমে আসবে বাস্তবের মাটিতে। অনুমান রাজনৈতিক বোদ্ধাদের একাংশের।