তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে, ‘টিকতে’ পারছে না ড্রাগন সেনা

তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে, সীমান্তে টিকে থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে ড্রাগন সেনার। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সম্প্রতি চিনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল…

তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে, সীমান্তে টিকে থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে ড্রাগন সেনার। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সম্প্রতি চিনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, সেনাবাহিনী রোবোটিক সৈন্য মোতায়েন করেছে সীমান্তে। যদিও সীমান্তে এ ধরনের কোনো সৈন্য এখনও দেখা যায়নি। তবে পিপলস লিবারেশন আর্মির পক্ষে এটি করা সহায়ক হবে কারণ তাদের সৈন্যরা সেখানে হাড় হিম করা শীতের সঙ্গে মানিয়ে নিতে খুব কঠিন হয়ে পড়ছে।

অন্যদিকে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, ‘এই নিয়ে টানা দু’বছর হল যখন চিন সেনারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারা ভারতীয় সীমান্তে থাকতে বাধ্য হয়েছে যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আমরা এখনও বন্দুক সজ্জিত এই রোবোটিক সৈন্যদের সেনাদের দেখা পাইনি। কিন্তু ড্রাগন বাহিনী যদি তা করে থাকে, তাহলে এটি তাদের সৈন্যদের সাহায্য করবে যারা এই হাড় কাঁপানো শীতে সীমান্তে থাকতে পারছেন না।

এদিকে চিন সেনাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে ব্যারাক থেকে বের হতে অসুবিধা হচ্ছে কারণ অনেক জায়গায় তারা কেবল মাত্র অল্প সময়ের জন্য বাইরে যায় এবং দ্রুত ভিতরে প্রবেশ করে। শুধু তাই নয়, অনেক সেনা জওয়ান ট্রমার মধ্যেও চলে গেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। গত বছরও তারা একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল এবং গত গ্রীষ্মে ৯০ শতাংশ নতুন সৈন্য আনতে হয়েছিল সিনিয়রদেড় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, কারন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশও ঠান্ডা জনিত আঘাত এবং মানসিক অবসাদে ভুগছিল। সেইসঙ্গে প্যাংগং লেকেও তাঁদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা মুশকিল হয়ে পড়ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ঠিক উল্টো। বাহিনীর জওয়ানরা সবরকম উচ্চতা ও সব রকম আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।