Covid-19: করোনা আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই মৃদু উপসর্গ: স্বাস্থ্য মন্ত্রক

বছর শেষে ফের বাড়ছে করোনা (Covid-19)। ফিরছে আতঙ্ক। এবার উদ্বেগের কারণ করোনার জেএন.১ (JN.1) ভ্যারিয়েন্ট। অতি দ্রুত এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন…

বছর শেষে ফের বাড়ছে করোনা (Covid-19)। ফিরছে আতঙ্ক। এবার উদ্বেগের কারণ করোনার জেএন.১ (JN.1) ভ্যারিয়েন্ট। অতি দ্রুত এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও।

ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবার কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রাজ্যকে পজেটিভ কোভিড স্যাম্পেল জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, শুক্রবারই রাজ্য সরকারগুলিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনার নতুন করে সংক্রমণ শুরু হওয়ায়, পরিস্থিতির উপরে কড়া নজরদারির জন্যই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহেই কেন্দ্রের তরফে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়। তবে এখনও অবধি সংক্রমণ ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছয়নি। ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট হওয়ায় জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টও অতি সংক্রামক, তাই আগামী কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণের ব্যাপক বৃদ্ধি হতে পারে। তবে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা এখনও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গা-ছাড়া মনোভাব দেখাতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই কারণে প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হল যে কোনও রোগীর কোভিড রিপোর্ট পজেটিভ এলে, তার সোয়াব নমুনা অবশ্যই সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠাতে হবে।

কেন্দ্রীয় আধিকারিক জানান, করোনা পরিস্থিতির উপরে যে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে, তারই অংশ এটা। আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় যে সমস্ত নমুনার রিপোর্ট পজেটিভ আসবে, তা আইএনএসএসিওজি (INSACOG) ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় করোনার রিপোর্ট পজেটিভ এলে তা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেই ভাইরাসের মিউটেশন বা অভিযোজন সম্পর্কে জানা যাবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, কেরল, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গোয়া, পুদুচেরী, গুজরাট, তেলঙ্গানা, পঞ্জাব ও দিল্লিতে বিগত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও হাসপাতালে রোগী ভর্তি বা মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম। যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশরই মৃদু উপসর্গ রয়েছে।