বারাণসী ২০০২ হামলা মামলায় প্রাক্তন এমপি ধনঞ্জয় সিংহের (Dhananjay Singh) আবেদন খারিজ, আদালত জানালো গ্যাংস্টার অ্যাক্টের অপরাধ রাষ্ট্র ও সমাজের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাই কোর্ট সম্প্রতি প্রাক্তন এমপি ধনঞ্জয় সিংহের আবেদন খারিজ করেছে, যা তিনি গ্যাংস্টার অ্যাক্টে ২৩ বছর পুরনো মামলার ট্রায়াল কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করতে দায়ের করেছিলেন।
হাই কোর্টের বিচারপতি লক্ষ্মীকান্ত শুক্লা রায়ে উল্লেখ করেছেন, গ্যাংস্টার অ্যাক্টের অধীনে সংঘটিত অপরাধ শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং রাষ্ট্র ও সমাজের বিরুদ্ধে। তাই এমন ধরনের মামলার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রাষ্ট্রই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতা রাখে।
মামলাটি শুরু হয় ২০০২ সালের ৪ অক্টোবর, যখন বারাণসীর নাদেশার এলাকার তকসাল সিনেমা সংলগ্ন স্থানে একটি প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। সেই সময় ধনঞ্জয় সিংহ সাংসদ ছিলেন। তিনি হামলার ঘটনার পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং অভিযোগপত্রে অনেককে অভিযুক্ত হিসেবে নাম উল্লেখ করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন:
অভয় সিংহ, প্রাক্তন এক্সপিএলএড স্পি এমএলএ, আয়োধ্যা
বিজেপি এমএলসি বিনীত সিংহ
সন্দীপ সিংহ
সঞ্জয় সিংহ
বিনোদ সিংহ
সত্যেন্দ্র সিংহ
মামলাটি তখন থেকে দীর্ঘ বছর ধরে বিচারাধীন ছিল, যা বিভিন্ন পর্যায়ে রাজনৈতিক ও আইনি আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল।
এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি লক্ষ্মীকান্ত শুক্লা রায়ে বলেছেন, “গ্যাংস্টার অ্যাক্টের অধীনে সংঘটিত অপরাধ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং রাষ্ট্র ও সমাজের বিরুদ্ধেই এটি সংঘটিত হয়। তাই এই মামলায় অভিযোগ দায়ের এবং মামলা পরিচালনা করার একমাত্র অধিকার রাষ্ট্রের। ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করা যায় না।”
বিচারপতি আরও উল্লেখ করেন যে, গ্যাংস্টার অ্যাক্টের লক্ষ্য** হল সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এবং দুষ্কৃতিকারীদের কার্যক্রমের প্রতিরোধ করা। ব্যক্তিগত ঝামেলা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই ধরণের মামলা আদালতে খারিজ হওয়ার কারণ হতে পারে।
২০০২ সালের হামলার সময় ধনঞ্জয় সিংহ তৎকালীন এমএলএ ছিলেন। হামলার সময় তিনি স্থানীয় থানা ও পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে নাম থাকা অন্যান্য ব্যক্তিরা অনেক সময় ধরে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারে জড়িত ছিলেন। মামলাটি রাজনৈতিক এবং সামাজিক দিক থেকে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল।
এছাড়াও এই মামলা নিয়ে বহু বছর ধরে রাজনৈতিক মহল ও সংবাদমাধ্যমে তর্ক-বিতর্ক চলেছে। অভিযোগে নাম থাকা প্রায় সব নেতা তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ছিলেন এবং রাজনৈতিক চাপের কারণে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে অনেক সময় বিলম্ব ঘটেছিল।
