‘চোর’ থেকে ‘বাঁদর’—নির্বাচনী ময়দানে নোংরা বাকযুদ্ধের বর্ষণ!

পাটনা: আর বাকি মাত্র দু-দিন। আগামী ৬ নভেম্বর ‘গণতান্ত্রিক অধিকার’ (Bihar Assembly Election) প্রয়োগ করবেন বিহারের মানুষ। ভোট-আবহে উত্তেজনার পারদ যত বাড়ছে, ততই কমে যাচ্ছে শাসক-বিরোধীদের কটাক্ষে শব্দচয়নের মান। হাইভোল্টেজ প্রচার কার্যত রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুঁড়িতে পরিণত হয়েছে।

Advertisements

স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে “কংগ্রেসের কানপাট্টিতে কান্টাপ (কানের গোড়ায় বন্দুক) রেখে তেজস্বীকে মহাগাঁঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করেছে আরজেডি”। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে বলেছেন, “ভোটের জন্য উনি মঞ্চে নাচতে পারেন, যোগব্যায়াম কোর্টে পারেন”!

   

এবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) বলতে শোনা গেল, “পাপ্পু, টাপ্পু, আক্কু হল ইন্ডি জোটের তিন বাঁদর”!” রাহুল, তেজস্বী, অখিলেশকে ইঙ্গিত করে মঞ্চে দাঁড়িয়ে জোড় গলায় বললেন যোগী আদিত্যনাথ। তেজপ্রতাপের রাহুলকে ‘রাসোইয়া’ (রাঁধুনি) তো প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) গাঁঠবন্ধনকে “ঠগবন্ধন”! বিহারের নির্বাচনী মাঠে নেতা-মন্ত্রীদের ভাষণে বর্তমানে শালীনতা খোঁজা মানে খরের গাদায় সূচ খোঁজা!

নির্বাচনী প্রচার মানেই কি কাদা ছোড়াছুঁড়ি?

Advertisements

বর্তমানে বিহারের অলিগলিতে কান পাতলে মনে হতেই পারে, আদর্শ আচরণবিধি (MCC) হয়ত বর্তমানে বিহারের মাটিতে প্রযোজ্য নয়। নির্বাচনী প্রচারে একে অপরকে দোষারোপ করতে গিয়ে শালীনতার সব মাত্রাই ছাড়িয়ে গিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে শাসক-বিরোধী দলের সকল নেতা-মন্ত্রী।

এই নিয়ে কি বলছেন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ অজয় কুমার (Ajay Kumar)? তিনি বলেন, “১৯৯০ সালের নির্বাচনের পর থেকে আমি বিহারের খবর প্রচার করে আসছি। আমি রাজীব গান্ধী, অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং জর্জ ফার্নান্দেজের কথা শুনেছি, তারা সকলেই ভালো বক্তা।”

“কিন্তু তাদের কেউই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেননি। তবে, আজকাল পরিস্থিতি খুবই বিরক্তিকর যেখানে নেতারা তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছেন, অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছেন, উপহাস করছেন”, বলে উল্লেখ করেন অজয় কুমার। প্রসঙ্গত, আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় বিহারে ভোটগ্রহণ। দ্বিতীয় দফায় বিধানসভা ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষিত হবে ১৪ নভেম্বর।