Congress: হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে, মাথায় হাত সনিয়া-রাহুলের!

লোকসভা ভোটের আগে বিরাট ধাক্কা খেল কংগ্রেস (Congress)। দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন হেভিওয়েট নেতা। স্বভাবতই মাথায় হাত সনিয়া-রাহুলের। দিল্লি কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে অরবিন্দর…

Congress-3

লোকসভা ভোটের আগে বিরাট ধাক্কা খেল কংগ্রেস (Congress)। দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন হেভিওয়েট নেতা। স্বভাবতই মাথায় হাত সনিয়া-রাহুলের। দিল্লি কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে অরবিন্দর সিং লাভলি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ, শনিবার গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান লাভলি। আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষুব্ধ তিনি। অরবিন্দর সিং লাভলির পাশাপাশি আরও অনেক কংগ্রেস নেতা এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

দলবদলু নেতাদের মধ্যে রয়েছেন রাজকুমার চৌহান, নসিব সিং, নীরজ বসোয়া। অরবিন্দর সিং লাভলি শীলা দীক্ষিত সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। গত বছরের অগস্টে লাভলি দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান পদে নিযুক্ত হন। সম্প্রতি দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লাভলি। এর একটা কারণ হল আপের সঙ্গে জোট।

   

পদ ছাড়ার পর অরবিন্দর সিং তাঁর বিবৃতিতে বলেছিলেন, কংগ্রেসের দিল্লি শাখা এই জোটের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের আপত্তির কথা শোনেনি। আপের সঙ্গে জোটে অনুমোদন দিয়েছে তারা। কংগ্রেসের দিল্লি শাখায় টালমাটালের জন্য তিনি সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির দিল্লি ইনচার্জ দীপক বাবরিয়াকে দায়ী করেছেন।

লাভলি তার পদত্যাগ পত্রে লিখেছিলেন, দিল্লির কংগ্রেস শাখা আপের সঙ্গে জোটের বিরুদ্ধে ছিল। আম আদমি পার্টি, যাদের মন্ত্রিসভার অর্ধেক মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে জোট করা মানে প্রকারান্তরে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া। তা সত্ত্বেও দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের নীতি সম্পর্কে আদৌ পরিচিত নন, এমন দুই নেতাকে (কানহাইয়া কুমার ও উদিত রাজ) টিকিট দেওয়া হয়েছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এদিন অরবিন্দর সিং লাভলি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে এবং দিল্লি বিজেপির প্রধান বীরেন্দ্র সচদেবার উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন। লাভলির পাশাপাশি, প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক রাজ কুমার চৌহান, নসিব সিং এবং নীরজ বসোয়া এবং প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি অমিত মালিকও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের যোগানন্দ শাস্ত্রীও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি দিল্লি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন।

আগামী ২৫ মে, ষষ্ঠ দফায় দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। ১৯ এপ্রিল এবং ২৬ এপ্রিল, দু’দফার ভোট ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ৭ মে, চতুর্থ ধাপে ১৩ মে, পঞ্চম ধাপে ২০ মে, ষষ্ঠ ধাপে ২৫ মে এবং সপ্তম ধাপে ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে মোট ৪৩ দিন। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।