উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে চলমান মহাকুম্ভ (Maha Kumbh) মেলার একটি এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রী সেতুর কাছে একটি ঘেরা জায়গায় রাত প্রায় ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক ফায়ার টেন্ডার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং দমকল বাহিনীর প্রচেষ্টায় আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় অন্তত একজন আহত হয়েছেন, যাঁকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
দমকল বিভাগের এক কর্মী জানিয়েছেন, “আমরা রাতে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। আগুন শাস্ত্রী সেতুর কাছে একটি ঘেরা জায়গায় লেগেছিল। আমাদের দ্রুত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।” তবে, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ বা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে এবং ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Also Read | মহাকুম্ভ শেষে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা
মহাকুম্ভ মেলা, যা গত ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছে এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে, বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি। এই মেলায় ইতিমধ্যে কোটি কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন। তবে, এর আগেও মেলা এলাকায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত জানুয়ারিতে শাস্ত্রী সেতুর কাছে সেক্টর ১৯-এ একটি বড় আগুন লেগে শতাধিক তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায়ও একজন আহত হয়েছিলেন। এছাড়া, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেক্টর ১৮-এ আরেকটি আগুনের ঘটনা ঘটেছিল। এই পর পর ঘটনাগুলি মেলার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার পর মেলা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তবে দ্রুত উদ্ধারকাজ ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ফলে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর আগের ঘটনাগুলিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছিলেন। এই ঘটনার পরও তিনি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।