অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যাঙ্কগুলিকে দ্রুত ঋণ দেওয়ার পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর

করোনার জেরে গত দু’বছরে দেশের আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে। প্রায় সব শিল্প ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে চরম মন্দা। বহু মানুষ তাঁদের কাজ হারিয়েছেন। এই অবস্থায় দেশের…

nirmala sitaraman

করোনার জেরে গত দু’বছরে দেশের আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে। প্রায় সব শিল্প ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে চরম মন্দা। বহু মানুষ তাঁদের কাজ হারিয়েছেন। এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ব্যাঙ্কগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। অর্থনীতিতেকে আরও গতিশীল করে তুলতে ব্যাঙ্কগুলিকে সব ধরনের সাহায্য করার পরামর্শও দিলেন অর্থমন্ত্রী। চাইলেই বিভিন্ন শিল্পসংস্থা ও মানুষ যাতে ঋণ পেতে পারেন সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার পরামর্শ দিলেন অর্থমন্ত্রী।
বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্যাংকগুলিকে এই পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

ভেঙে পড়া অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার করার জন্য কেন্দ্রের মোদী সরকার স্টার্টআপগুলির উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলি যাতে কোনও রকম সমস্যায় না পড়ে, সহজেই যাতে তারা ঋণ পায় সে জন্য ব্যাংকগুলিকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিলেন অর্থমন্ত্রী। নির্মলা স্পষ্ট বলেন, ব্যাংকগুলিকে আরও গ্রাহকবান্ধব হতে হবে। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী ব্যাঙ্কগুলিকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, ঝুঁকি নিয়ে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে ঋণ দিতে হবে না। সমস্ত কিছু নথিপত্র খুঁটিয়ে দেখার পর তবেই যেন ঋণ দেওয়া হয়। নথিপত্র ঠিকঠাক থাকলে যত শীঘ্র সম্ভব যেন ঋণ দেওয়া হয়।

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান দীনেশ কুমার খাড়া। তিনি স্টার্টআপ সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে বলেন, সব নথিপত্র ঠিকঠাক থাকলে ঋণ পেতে কোনও সমস্যা হবে না।
উল্লেখ্য গত কয়েক বছরে নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি, এবিজি শিপ ইয়ার্ডের মত বিভিন্ন সংস্থা ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া বিপুল টাকা পরিশোধ করেনি। যে কারণে ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রীর ব্যাংকগুলিকে ঋণ দেওয়ার পরামর্শ বেশ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বাজারের নগদের জোগান বাড়ানোর কথাও তাঁরা অস্বীকার করছেন না। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান ঠিকই বলেছেন। অর্থাৎ নথিপত্র ঠিকঠাক থাকলে তবেই ঋণ দেওয়া উচিত।