কৃষকদের আন্দোলন (Farmers Protest) যেন থামার নামই নিচ্ছে না। কিছুটা বিরতির পর ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকার অস্বস্তি বাড়ালেন দেশের সাধারণ কৃষকরা। আন্দোলনের ১৪তম দিনে আজ সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারি কৃষকরা আবার রাস্তায় নামবেন। একদিকে শম্ভু সীমান্তে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, অন্যদিকে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সারা দেশে ট্র্যাক্টর মিছিল (Tractor chain) করার কথা ঘোষণা করেছে।
দাবি করা হয়েছে যে শত শত ট্র্যাক্টর জাতীয় ও রাজ্য সড়কে নামবে তবে এটি ট্র্যাফিকের সমস্যা সৃষ্টি করবে না। তবে নয়ডা পুলিশ গোটা বিষয়টির ওপর কড়া নজর রাখছে বলে খবর। বলা ভালো, হাই অ্যালার্ট মোডে রয়েছে পুলিশ। বড় মন্তব্য করেছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত (RakeshTikait)। তিনি বলেন, “ট্রাক্টর চেন বের করার কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। দিল্লির দিকে যাওয়ার হাইওয়েতে ট্রাক্টর পার্ক করা হবে, বিশেষ করে ডিভাইডার হাইওয়ে। সরকার যাতে আমাদের কথা শোনে, কৃষকদের কথা ভুলে না যায়, তার জন্যই অন্য ধরনের প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
সোমবার ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন টিকায়েত গোষ্ঠীকে আগাম নির্দেশে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, লুহারলি টোল প্লাজা এবং মহামায়া উড়ালপুলের উপর দিয়ে দিল্লি যাত্রা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক রুটে ডাইভারশন করা হয়েছে। নয়ডা ট্র্যাফিক পুলিশ পরামর্শ এবং ডাইভারশন পরিকল্পনা জারি করেছে।
দিল্লি অভিমুখে কৃষকদের পদযাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে গৌতম বুদ্ধ নগর থেকে দিল্লি সীমান্তে যান চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, লুহারলি টোল প্লাজা ইত্যাদিতে ট্র্যাফিকের চাপ বাড়লে তা ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে দিল্লি এবং সিরসা থেকে পারিচক হয়ে সুরজপুর পর্যন্ত সমস্ত ধরণের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।