Assam:উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলির বেশিরভাগ জবরদখলকারী ছিল না,সমীক্ষা রিপোর্ট

News Desk: মাস দুয়েক আগে অসমের দরং জেলার ঢলপুর অঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটেছিল। সম্প্রতি একটি সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেদিনের…

Himanta biswasarma

News Desk: মাস দুয়েক আগে অসমের দরং জেলার ঢলপুর অঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটেছিল। সম্প্রতি একটি সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেদিনের উচ্ছেদ অভিযানে বিতাড়িত পরিবারগুলি সকলেই অবৈধ অভিবাসী জমি দখলকারী ছিল না। যদিও রাজ্যের বিজেপি সরকারের দাবি ছিল, উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলি সকলেই ছিল জমি দখলকারী।

সেন্টার ফর মাইনরিটি স্টাডিজ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এই সমীক্ষা চালায়। ‘ঢলপুর দ্য ট্রুথ বিহাইন্ড’, (dhalpur the truth behind) শীর্ষক এই সমীক্ষাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ১৪ জন গবেষক। তারা ১৫ দিন ধরে সমীক্ষাটি চালিয়েছিলেন।

সমীক্ষায় উচ্ছেদ হওয়া ৯৬৩টি পরিবারের মধ্যে ৫১৭ টি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সমস্ত নথিপত্র যাচাই করে সমীক্ষকরা বলেছেন, ঢলপুরে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলির বেশিরভাগই জমি দখলকারী ছিল না।

রাজ্য সরকার অবশ্য এই রিপোর্ট নিয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তারা বলেছে, ঢলপুরের উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে কারও কোনও অসুবিধা থাকলে তারা আদালতে যেতেই পারে।

রাজ্যের বিজেপি সরকারের দাবি, ঢলপুরে ৭৭ হাজার ৪২০ বিঘা সংরক্ষিত জমি আছে। কিন্তু প্রায় দুই দশক ধরে বেশকিছু পরিবার বেআইনিভাবে ওই জমি দখল করে রেখেছে। নভেম্বরের প্রথমে এই বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গেলেই পুলিশকে আক্রান্ত হতে হয়। দখলকারীদের হামলায় ৯ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালালে দুই দখলকারীর মৃত্যু হয়। এই রক্তাক্ত ঘটনা নিয়ে গোটা দেশেই নিন্দার ঝড় উঠেছিল।

ব্রহ্মপুত্রের চর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই কিছু অনুপ্রবেশকারী বাস করছেন। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ঢলপুর অঞ্চলটিতে মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। এদের মধ্যে অনেকেই অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে বসবাস করছেন।

কিছু রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ার কারণে ঢলপুরে উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছিল বিজেপি সরকারের পুলিশ। যদিও এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকার। অসম সরকারের দাবি, সরকারি জমি দখলকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করতেই অভিযান চালানো হয়েছিল।