নয়াদিল্লি: সাধারণ মানুষের চিকিৎসা খরচের চাপ কমাতে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। ৩৫টি অত্যাবশ্যক ওষুধের খুচরো মূল্য হ্রাস করল ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)। অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, হৃদরোগের ওষুধ, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও সাইকিয়াট্রিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত একাধিক পরিচিত ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম এবার থেকে অনেকটাই কমে যাচ্ছে (Essential medicines price cut)।
এনপিপিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নির্ধারিত মূল্যের তালিকা অনুসারে, এই ওষুধগুলি এখন থেকে আরও সহজলভ্য দামে মিলবে দেশের বাজারে।
কোন কোন ওষুধে কমল দাম?
দাম কমানো ওষুধগুলির তালিকায় রয়েছে-
- অ্যাসিক্লোফেনাক, প্যারাসিটামল ও ট্রিপসিন কাইমোট্রিপসিন সংমিশ্রণ
- অ্যামক্সিসিলিন ও পটাসিয়াম ক্ল্যাভুলানেট
- অ্যাটোরভাস্ট্যাটিন ও ক্লোপিডগ্রেল যৌগিক ওষুধ
- এম্পাগ্লিফ্লোজিন, সিটাগ্লিপটিন ও মেটফর্মিন জাত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ
উদাহরণস্বরূপ- অ্যাটোরভাস্ট্যাটিন ৪০ মিগ্রা ও ক্লোপিডগ্রেল ৭৫ মিগ্রার সংমিশ্রণে তৈরি একটি ট্যাবলেটের নতুন দাম ২৫ টাকা ৬১ পয়সা
আকুমস ড্রাগস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস ও ডক্টর রেড্ডি’স ল্যাবরেটরিজ-এর তৈরি অ্যাসিক্লোফেনাক-প্যারাসিটামল-ট্রিপসিন কাইমোট্রিপসিন ট্যাবলেটের দাম ১৩ টাকা
একই ফর্মুলেশন ক্যাডিলা ফার্মার তৈরি হলে দাম ১৫ টাকা ১ পয়সা
ডিক্লোফেনাক ইনজেকশনের (১ এমএল) নতুন দাম ৩১ টাকা ৭৭ পয়সা
ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট (কোলেক্যালসিফেরল ড্রপ) ও
শিশুদের সেফিক্সিম ও প্যারাসিটামলের ওরাল সাসপেনশন-এর দামও হ্রাস পেয়েছে
নির্ধারিত মূল্যের বেশি নিলেই শাস্তি
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ওষুধ বিক্রেতা ও ডিলারদের অবশ্যই এই দাম তালিকা দোকানে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি টাকা নিলে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, নতুন দামের সঙ্গে জিএসটি যুক্ত থাকবে। তবে সাধারণ রোগীদের জন্য এই মূল্য হ্রাস নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তির খবর।