উত্তরাখণ্ডের ধর্মীয় শহর হরিদ্বারে (Haridwar),নির্ভয়ে একদল হাতির (Elephants) পাল শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আতঙ্কে (panic) মানুষ। বুধবার সকালে ৫টি হাতির পাল হেঁটে হেঁটে গুরুকুল কাংরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাতাল রেলে পৌঁছে যায়। হাতির দলকে দেখে পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন এদিক ওদিকে ছুটতে থাকে। সৌভাগ্য যে এই হাতিগুলো কারো কোন ক্ষতি করেনি। বরং কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর এই হাতিগুলো আবার বনের দিকে চলে যায়।
তথ্য অনুযায়ী, হরিদ্বার শহর সংলগ্ন একটি ঘন জঙ্গল রয়েছে। এমতাবস্থায় বন্য প্রাণীরা বন থেকে বেরিয়ে এসে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রতিদিন প্রবেশ করছে। বিশেষ করে ভেল বা কাঁখালের লাকসার রুটে প্রায় প্রতিদিনই বন্য পশুর ডাক শোনা যায়। মাত্র দুদিন আগে পাঁচটি হাতির পাল ঢুকেছিল রাজা গার্ডেন কলোনিতে। এ সময় সেখানেও পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সময়ও এই হাতিগুলো কারো ক্ষতি না করে কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে।
একই ধারাবাহিকতায় বুধবার আবারও পাঁচটি হাতির পাল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গুরুকুল কাংরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাতাল রেলে পৌঁছেছে। পথচারীদের মতে, সব হাতিই প্রাপ্তবয়স্ক ছিল এবং আনন্দে হাঁটতে বেরিয়েছিল। এই সময়ে, এই হাতিগুলি কোনও গাড়ী বা সম্পত্তির কোনও ক্ষতি করেনি। বন দফতরের আধিকারিকদের মতে, শহর সংলগ্ন জঙ্গল থেকে এই হাতি ও অন্যান্য বন্য প্রাণীরা জনসংখ্যায় আসছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বন দফতরের আধিকারিকদের মতে, বন্য প্রাণীরা বন থেকে বেরিয়ে আসতে চায় না। যেহেতু আজকাল বনে প্রচুর মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের রক্ষার জন্য বন্য প্রাণীরা এখানে-সেখানে ছুটছে। অনেক সময় বন্য প্রাণী শিকার বা খাবারের সন্ধানে জনবহুল এলাকার দিকে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। এতে তাদের নিজেদের রক্ষার পাশাপাশি বন্য প্রাণী সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।