ED Raid: মমতার ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ঘরে ইডি তল্লাশি

ইডি-র অষ্টম তলবের পর ঝাড়খণ্ড মুখ্যমন্ত্রী জেরায় গরহাজির। এবার হেমন্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বাসভবনে গেল ইডি (ED Raid)। আধিকারিকরা শনিবার দুপুর 1 টার দিকে…

ইডি-র অষ্টম তলবের পর ঝাড়খণ্ড মুখ্যমন্ত্রী জেরায় গরহাজির। এবার হেমন্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বাসভবনে গেল ইডি (ED Raid)। আধিকারিকরা শনিবার দুপুর 1 টার দিকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে নিরাপত্তার আবরণে পৌঁছান। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢোকার আগে ইডি অফিসারদের গাড়িও চেক করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে ডিসি, এসএসপি সহ বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। রাঁচি সরগরম।

ঝাড়খণ্ডে জেএমএম কংগ্রেস জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি পড়শি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট। ইন্ডিয়া ব্লকের অন্যতম নেতা হেমন্ত।

প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (PMLA) ধারা 50 এর অধীনে একটি জমি কেলেঙ্কারির মামলার অভিযোগে অর্থ পাচারের তদন্তের জন্য হেমন্ত সোরেনকে জেরা করছে ইডি। জানা যাচ্ছে তিনি নিজেই তাঁর বাসভবনে ইডি অফিসারদের ডেকে পাঠান।

রাঁচিতে অবৈধ খনন এবং জমি কেলেঙ্কারি – দুটি বড় মামলা তদন্ত করছে ইডি। এই জমি কেলেঙ্কারির তদন্তে আইএএস অফিসার এবং দুই ব্যবসায়ী সহ 13 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আদিবাসী নেতারা হেমন্ত সোরেনের সরকারের মানহানি করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ইডি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সমর্থকরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন ‘জো হামসে সে তকরায়েগা চুর চুর হো যায়েগা’, ‘আদিবাসী একতা জিন্দাবাদ’।

রাঁচিতে আদিবাসী বিক্ষোভ যে কোনও সময় আক্রমনাত্মক হতে পারে এমন আশঙ্কা করছে ইডি। কারণ, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশির সময় স্থানীয় টিএমসি সমর্থকরা হামলা চালিয়েছিল। মার খেয়ে চলে যেতে হয়েছিল ইডি অফিসারদের। রক্ষীদের উপরেও হামলা হয়েছিল। এর জেরে মমতার সরকার বিতর্কের মুখে পড়ে। সেই ঘটনার মতো রাঁচিতেও কিছু হতে পারে এমনই আশঙ্কা। একাধিক আদিবাসী সংগঠন নেমেছে বিক্ষোভে। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের মধ্যে হেমন্ত সোরেন ও তাঁর দল জেএমএম জনপ্রিয়।
বিক্ষোভের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হেমন্ত সোরেনের বাসভবনের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। রাঁচির সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ চন্দন কুমার সিনহা জানিয়েছেন তিনস্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে 1,000 জনের বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।