শাহী মন্ত্রকের সবুজ সংকেত! কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া চালাতে বাধা রইল না ইডি-র

নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালানোর ক্ষেত্রে ইডি-র কাছে আর কোনও বাধা রইল না৷ আম আদমি পার্টি (আপ)…

arvind-kejriwal-vipassana-massive-cavalcade-punjab

short-samachar

নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালানোর ক্ষেত্রে ইডি-র কাছে আর কোনও বাধা রইল না৷ আম আদমি পার্টি (আপ) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ সিসোডিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপ মামলা দায়েরের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ (ED gets nod to prosecute Arvind Kejriwal)

   

শাহী দফতর থেকে এল অনুমোদন ED gets nod to prosecute Arvind Kejriwal

দিল্লির উপ রাজ্যপাল (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) ভি কে সাক্সেনার আগেই অনুমোদন দিয়েছিলেন৷ এবার আমিত শাহের দফতর থেকে এল অনুমোদন৷ গত নভেম্বর মাসে এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। কিন্তু এর আগে ইডির কোনও মামলায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সম্মতির প্রয়োজন হত না। এর পরেই আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে কেজরীর বিরুদ্ধে বিচারের অনুমতি চেয়ে দিল্লির উপরাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠায় ইডি। সেই চিঠিতে আপ সুপ্রিমোকে আবগারি মামলায় ‘মূল চক্রান্তকারী’ হিসাবে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ 

আবগারী নীতির ত্রুটি ED gets nod to prosecute Arvind Kejriwal

কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২১-২২ সালের আবগারী নীতির মধ্যে নানা ত্রুটি সৃষ্টি করে মদ ব্যবসায়ীদের থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে৷ ইচ্ছাকৃতভাবেই এই কাজ করেছিলেন তিনি।

২০২৪ সালের ২১ মার্চ, ইডি-র হাতে প্রথম গ্রেফতার হন কেজরী৷ পরে ২৬ জুন সিবিআইও তাঁকে এই দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করে। যদিও সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট কেজরীওয়ালকে জামিন দেয়। জামিন পাওয়ার পর তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং অতীশীকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

অন্যদিকে, সিসোডিয়া ১৭ মাস কারাবাসের পর ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে জামিনে মুক্তি পান। আবগারি মামলায় গত জুলাই মাসে ২০০ পাতার চার্জশিট দিয়েছিল ইডি। তাতে কেজরীওয়াল এবং  ‘আপ’-কেই অভিযুক্ত করা হয়েছিল। নিম্ন আদালত সেই সময়ই জানিয়েছিল, আপ সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট তথ্য চার্জশিটে আছে৷ এর বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য ছিল, কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সরকারের থেকে অনুমতি নিতে হয়৷ ইডি তা করেনি। এর পরেই নভেম্বর মাসে ইডিকে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷