Supreme Court: ইডি-র ক্ষমতা খর্ব, যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের

‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) মামলার ১৯ নম্বর ধারায় (অর্থ নয়ছয়) অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি। অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখতে চাইলে ইডি-কে সংশ্লিষ্ট বিশেষ…

Supreme Court curtailed ED Power, পিএমএলএ ইডি ক্ষমতা খর্ব সুপ্রিম কোর্ট

‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) মামলার ১৯ নম্বর ধারায় (অর্থ নয়ছয়) অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি। অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখতে চাইলে ইডি-কে সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার ইডির ক্ষমতা খর্ব করে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

লোকসভা ভোট চলাকালীন দেশের শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ বেশ তাৎপর্যবাহী।

   

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় ওকা এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চের নির্দেশ অনুসারে, যদি এক জন অভিযুক্ত সমনে সাড়া দিয়ে আদালতে হাজির হন, তবে তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য ইডিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া হাজিরা দেওয়া অভিযুক্তকে ইডি হেফাজতে নিতে পারবে না।

এছাড়াও ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) মামলায় অভিযুক্ত যদি সমন মেনে আদালতে হাজিরা দেন, তবে অভিযুক্তের আলাদা ভাবে জামিনের আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে পিএমএলএ-র ৪৫ নম্বর ধারার জোড়া শর্ত কার্যকরী হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Income Tax Raid: কলকাতার ১০ জায়গায় আয়কর হানা, উদ্ধার কমপক্ষে ১ কোটি টাকা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমলে কার্যকর হয়েছে সংশোধিত পিএমএলএ আইন। গ্রেফতারি, তল্লাশি, সমন পাঠানো বা নগদ সম্পত্তি আটকের ক্ষেত্রে ইডির হাতে যথেচ্ছ ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে এই আইনের দ্বারা। য়ার প্রতিবাদে মুখর ছিল, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সংশোধিত পিএমএলএ আইনে ইডির ক্ষমতা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিরোধী বলেও অভিযোগ উঠেছিল। ইডি তদন্ত শুরুর আগে যে ইসিআইআর করত তা গ্রাফতারের আগে দেখানোর দাবিতে মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। যদিও ২০২২ সালে জুলাইয়ে এক নির্দেশে জানানো হয়েছিল যে, ইসিআইআর ইডির নিজস্ব নথি, তা দেখানোর দরকার নেই।

পরে অবশ্য ইডির এই অতিরিক্ত ক্ষমতা বিবেচনায় রাজি হয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০২২ সালের অগাস্টে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার বেঞ্চ জানিয়েছিল, ইডির বাড়তি ক্ষমতা দু’টি ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করা হবে। যেমন, গ্রেফতারির আগে ইডি যে ইসিআইআর দায়ের করে, সেটি দেখাতে তারা বাধ্য নয় বলে ঘোষিত রায়। অন্যটি হল, পিএমএলএ-তে অভিযুক্তের উপরেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের যে দায় বর্তায়, সেই বিষয়টিও। শেষপর্যন্ত ইডির ক্ষমতা খর্ব করল শীর্ষ আদালত।