Anil Deshmukh: দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরার পর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করল ইডি

News Desk, New Delhi: একটানা ১২ ঘণ্টা জেরা করার পর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এর আগে অনিলকে জিজ্ঞাসাবাদের…

Ex-Home Minister Anil Deshmukh

News Desk, New Delhi: একটানা ১২ ঘণ্টা জেরা করার পর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এর আগে অনিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি সেই সমন এড়িয়ে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই সমন খারিজ করার জন্য বম্বে হাইকোর্টে আবেদনও করেছিলেন এই এনসিপি নেতা। যদিও শুক্রবার হাইকোর্ট সেই আরজি নাকচ করে দেয়।

হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সোমবার দেশমুখ ইডির দফতরে হাজির হন। ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁকে দীর্ঘ ১২ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু তদন্তে সেভাবে সহযোগিতা না করার কারণে শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় অনিলকে। দেশমুখের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের পদস্থ পুলিশ কর্মীদের মাধ্যমে তোলা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অবৈধ আর্থিক লেনদেন এবং অর্থ তছরুপের অভিযোগও রয়েছে এই এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কারণেই চলতি বছরের শুরুতে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন দেশমুখ। যদিও তোলা আদায় এবং অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। দেশমুখ এক ভিডিও বার্তায় পাল্টা দাবি করেছিলেন, তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনও ভিত্তি নেই।

একই সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, তিনি ইডির সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। বরং তিনি তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। তদন্তে সহযোগিতা করলে কেন তিনি বারবার ইডির সমন এড়িয়ে যাচ্ছেন এই প্রশ্ন করা হলে অবশ্য রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কোনও উত্তর দেননি।

উল্লেখ্য, শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির বাড়ির কাছেই বোমাতঙ্কের ঘটনায় তদন্ত করছিলেন পুলিশ কর্তা পরমবীর সিং। পরমবীর অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশের মাধ্যমে প্রতি মাসে দেশমুখ প্রায় ১০০ কোটি টাকা তোলা আদায় করতেন। দেশমুখের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি দিয়েছিলেন পরমবীর। উল্লেখ্য, অনিল আম্বানির বাড়ির সামনে বোমাতঙ্কের ঘটনার তদন্তভার পরমবীরের হাত থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তার পরই পরমবীর তৎকালীন মন্ত্রী দেশমুখের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তোলেন। গ্রেফতারের আগে দেশমুখ বলেন, তিনি নির্দোষ। কিন্তু যারা প্রকৃত দোষী তারা অবাধে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা প্রকৃতই খুন-জখম, তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ পুলিশ করছে না। তবে আদালত ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর পুরোদস্তুর আস্থা আছে। প্রকৃত সত্য একদিন অবশ্যই সামনে আসবে।