‘ভিলেন’ বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে প্রায় স্তব্ধ যান চলাচল, যানজটে নাজেহাল মানুষ

আচমকা শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টির জেরে যেন থমকে গিয়েছে জনজীবন। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এনসিআর, নয়ডা থেকে শুরু করে গুরুগ্রামের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। গুরুগ্রামের দিল্লি-জয়পুর…

dekhi_jam

আচমকা শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টির জেরে যেন থমকে গিয়েছে জনজীবন। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এনসিআর, নয়ডা থেকে শুরু করে গুরুগ্রামের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। গুরুগ্রামের দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে তীব্র যানজটের (Mega Traffic) সৃষ্টি রয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তাতেই আটকে রয়েছেন সাধারণ মানুষজন। জানলে আকাশ থেকে পড়বেন, বুধবারে রাতে এই জ্যামের দৈর্ঘ্য ছাড়িয়েছে ১২ কিলোমিটারেরও বেশি। 

একে তো ভারী বৃষ্টি, তারওপর এমন যানজট, সব মিলিয়ে সকলের হাল বেহাল হয়েছে যাচ্ছে। মহাসড়কে জল জমে গিয়েছে, ফলে গাড়িতেও জল ঢুকে গেছে। এদিকে গতি ধীর থাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক যানবাহনের পেট্রোল অবধি ফুরিয়ে গেছে। সবথেকে বড় কথা গুরুগ্রাম শহরে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

   

লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ভারী বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যানজটে আটকা পড়েছেন মানুষ। গুরুগ্রামের সুভাষ চক থেকে রাজীব চক এবং সিগনেচার টাওয়ার পর্যন্ত তীব্র যানজট চোখে পড়েছে সকলের। দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনেও জ্যাম রয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে হিরো হন্ডা চক থেকে খেরকিদৌলা টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয়েছিল। 

এদিকে কয়েক ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে রয়েছে যানবাহনগুলি। সকলেই ভাবছেন কেন যে বাড়ি বা অফিস থেকে বেরোতে গেলেন। পরিস্থিতি যত এগোচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় আচমকা শুরু হওয়া বৃষ্টির জেরে দিল্লি-এনসিআরের মানুষ স্বস্তি পেয়েছেন। এ কারণে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি-এনসিআরের বহু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। খাড়াও আবহাওয়ার কারণে ব্যাপক প্রভাবিত হয়েছে বিমান চলাচলও। দিল্লি বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করা প্রায় ১০টি বিমানের গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।