Tripura : খাদ্যাভাবে ব্যাঙাচি খাওয়ার দৃশ্যে শোরগোল

News Desk: পুর নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তাপ যেমন প্রবল তেমনই ভয়াবহ বেকারি ও খাদ্যাভাবের দিক উঠে আসছে উপজাতি পার্বত্য এলাকা থেকে। খাদ্যাভাবে ব্যাঙাচি বা ব্যাঙের…

News Desk: পুর নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তাপ যেমন প্রবল তেমনই ভয়াবহ বেকারি ও খাদ্যাভাবের দিক উঠে আসছে উপজাতি পার্বত্য এলাকা থেকে। খাদ্যাভাবে ব্যাঙাচি বা ব্যাঙের ছানা খেতে শুরু করেছেন অনেকে। আগরতলার সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশ হয়েছে। তারই ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন।

ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন উপজাতিদের মধ্যে বনজ হরেক বস্তু, প্রাণী খাদ্য তালিকাভুক্ত। তবে ব্যাঙাচি খাওয়ার কথা এতদিন তেমন আসেনি। অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোটে বামেদের টানা ২৫ বছরের সরকার পতনের পর রাজ্যের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক পরিকাঠামো এতটাই ক্ষতির মুখে যে বেকারত্ব হারে দেশে অন্যতম।

আরও অভিযোগ, ঘরে ঘরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে আসা বিজেপি ও উপজাতি দল আইপিএফটি জোটের আমলে সরকারি চাকরি নেই। উপজাতি এলাকায় দেখা দিয়েছে কর্মাভাব। এর ফলে অনেকেই ব্যাঙাচি খেতে শুরু করেছেন।

আগরতলার সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট, রাজ্যের তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়া ব্লকের এডিসি ভিলেজ (উপজাতি এলাকার গ্রাম) ৪৫ মাইল এলাকার। এখানকার বিভিন্ন উপজাতি পরিবার খাদ্যাভাবে জঙ্গলে বা আশেপাশের নোংরা জলে জন্মানো ব্যাঙাচি সংগ্রহ করছেন। সেই ব্যাঙাচি তারা খাচ্ছেন।
সংবাদ মাধ্যমে এই দৃশ্য সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

ছবির সত্যতা যাচাই করা নেই

রাজ্যের উপজাতি স্বশাসিত এলাকার ভোটে শাসক বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পারেনি। শরিক আইপিএফটি ব্যার্থ। টানা এক দশকের বেশি বোর্ড হাতছাড়া হয়েছে সিপিআইএমের। এডিসি দখল করেছে রাজা প্রদ্যোত দেববর্মার দল তিপ্রা মথা।

অভিযোগ, ত্রিপুরায় বাম আমলে উন্নয়নের গতি ধীরে চলেছে। তবে উপজাতিদের অনেকেই জানান, গ্রাম ভিত্তিক কর্মসংস্থান ছিল। বিজেপি আইপিএফটি জোটের সরকারে সেটি নেই। আর এডিসির ক্ষমতাসীন দল তিপ্রা এখনও তেমন কিছু করতে পারেনি। কর্ম ও খাদ্যাভাবের কারণে ব্যাঙের ছানাকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে। ব্যাঙাচি খাওয়ার এই সংবাদ ও ছবি ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তৈরি করেছে।

পশ্চিমবঙ্গে বাম আমলে আমলাশোলে খাদ্যাভাবে পিঁপড়ের ডিম খাওয়ার খবর প্রচারিত হয়েছিল। যদিও এই ডিম বা কুরকুট আসলে স্থানীয় আদিবাসীদের কাছে লোভনীয়। এর দামও অনেক। যারা জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করেন তারা খান। একথা পরে প্রকাশ হয়েছে।

(ছবির সত্যতা যাচাই করা নেই)