ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের মুখে পাহাড়, মৃত ৪০

ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে দেশের একের পর এক জেলা। তবে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হিমাচল প্রদেশ। মৌসুমী বায়ু রীতিমতো পাহাড়…

ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে দেশের একের পর এক জেলা। তবে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হিমাচল প্রদেশ। মৌসুমী বায়ু রীতিমতো পাহাড় থেকে শুরু করে সমতল পর্যন্ত সর্বনাশ ডেকে আনছে। হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে মেঘভাঙা (Cloudburst) বৃষ্টিতে একজন নিহত হয়েছেন, অনেক রাস্তা ও বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাট, মুম্বই ও ওড়িশার বিভিন্ন এলাকা। অনেক এলাকা ডুবে গেছে এবং এমনকি বাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছে। রাস্তাঘাট খাড়া হয়ে যাওয়ায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যেও কোথাও কোথাও হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং আগামী তিন-চার দিন একই রকম আবহাওয়া বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমডি।

   

শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সিরমৌর জেলার অঞ্জভোজের তরু ডান্ডা অঞ্জ পঞ্চায়েতে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। এর ফলে নিকটবর্তী পাহাড়ি এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। এর জেরে আটকে পড়েন ডান্ডা অঞ্জের বাসিন্দা আমন সিং (৪৮) ও তাঁর মেয়ে গ্রেসি চৌহান। বাবা মেয়েকে নর্দমা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেও সে নিজেই ভেসে যায়। শনিবার বাড়ি থেকে দূরে টনস নদীতে আমনের দেহ পাওয়া যায়। এরই মধ্যে মানালির সার্কিট হাউসের ছাদে ভেঙে পড়ে বিশাল আকৃতির একটি গাছ।

রবিবার ও সোমবার রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। গত ২৭ জুন থেকে হিমাচল প্রদেশে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে বৃষ্টি, মেঘভাঙা বৃষ্টি ও বজ্রপাতে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্টেট এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টির জেরে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩২৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। মুম্বইয়ের গ্রান্ট রোড স্টেশনের কাছে সইদুন্নিসা মঞ্জিল নামে একটি পুরনো বহুতলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ব্যালকনি ও স্ল্যাবের একাংশ ধসে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মহারাষ্ট্র হাউজিং অ্যান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমএইচএডিএ) এটিকে জঞ্জাল বলে ঘোষণা করেছিল। এমএইচএডিএ-র নোটিশের পরে কিছু লোক বাড়ি খালি করে দিয়েছে এবং কিছু লোক বিল্ডিংয়ে থাকছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কুরলা-সহ শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় জলমগ্ন হয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। তবে সেন্ট্রাল রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, পাবলিক ট্রেন চলাচলে কোনও প্রভাব পড়বে না।