Mission Sudarshan Chakra: ভারত গত কয়েক মাস ধরে তার প্রতিরক্ষা খাতের বিষয়ে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর আওতায় প্রতিরক্ষা খাতকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। এর আওতায় ভারত এখন প্রতিরক্ষা খাতে আরও একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। মিশন সুদর্শন চক্রের (Mission Sudarshan Chakra) অধীনে, দেশকে সব দিক থেকে নিরাপত্তা প্রদানের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এর জন্য, ডিআরডিও ২০২৬ সাল থেকে ব্যালিস্টিক ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে, যা শত্রু বিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলিকে বাতাসেই ধ্বংস করবে।
ডিআরডিও এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার নাম দিয়েছে প্রজেক্ট কুশা (Project Kusha)। এর আওতায় তিনটি নতুন এলআর-এসএএম ইন্টারসেপ্টর মিসাইল তৈরি করা হচ্ছে, যেগুলো হল এম-১, এম-২ এবং এম-৩।
M-1 ক্ষেপণাস্ত্র: প্রথম পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালে, যা ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে শত্রু বিমান, ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম।
M-2 ক্ষেপণাস্ত্র: ২০২৭ সালে পরীক্ষা করা হবে, যা বাতাসে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।
M-3 ক্ষেপণাস্ত্র: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটি ৩৫০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তু করে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
Mission Sudarshan Chakra: ২০৩০ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীতে ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত করা হবে
ডিআরডিওর লক্ষ্য হলো ২০২৮ সালের মধ্যে এই তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি রাশিয়া থেকে কেনা S-400 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অনুরূপ হবে, তবে সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি করা হবে। এটি কেবল খরচ কমাবে না বরং আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকেও বাস্তবায়িত করবে।
Mission Sudarshan Chakra: আমেরিকা ও ইজরায়েলের মতো নিরাপত্তা ঢাল
এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢালটি আমেরিকার গোল্ডেন ডোম এবং ইজরায়েলের আয়রন ডোমের মতো হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেছেন যে ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি এই নিরাপত্তা ঢাল দিয়ে সুরক্ষিত করা হবে।
Mission Sudarshan Chakra: CDS চৌহানের বক্তব্য
সম্প্রতি সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান বলেছেন যে ভারত নিজস্ব খরচে আয়রন ডোম বা গোল্ডেন ডোমের মতো একটি নিরাপত্তা ঢাল তৈরি করতে পারে। এই ঢাল কেবল আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে না বরং শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতেও জবাব দেবে। তিনি বলেন, ভারত ইতিমধ্যেই প্রলয় (৫০০ কিলোমিটার পাল্লা), ব্রহ্মোস (৪৫০৮০০ কিলোমিটার) এবং ১০০০ কিলোমিটার ক্রুজ মিসাইলের মতো অস্ত্রে সজ্জিত।