Astra MK 3 Gandiva missile: ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা-ডিআরডিও নতুন অস্ত্র আবিষ্কারের মাধ্যমে ভারতের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য কাজ করে। এখন ডিআরডিও একটি নতুন এবং শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাস্ট্রা এমকে-৩ তৈরি করছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গান্ডিব’। মহাভারতে যোদ্ধা অর্জুনের ধনুকের নাম ছিল এটি। Astra MK-3 হল Gandiva, যা বায়ু যুদ্ধে ভারতীয় বায়ুসেনাকে (IAF) নতুন শক্তি যোগাবে। Gandiva দীর্ঘ দূরত্বে শত্রু বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম হবে এবং এটি বিশ্বের সেরা ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি হবে। ধারণা করা হচ্ছে এটি চিনের PL-15 এবং আমেরিকার AIM-174 এর চেয়ে ভালো হবে।
৪.৫ ম্যাকের গতি
গান্ডিবাতে সলিড ফুয়েল ডাক্টেড রামজেট-এসএফডিআর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর অর্থ হল এই প্রযুক্তি বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে দ্রুত উড়তে সাহায্য করে। এটি ৪.৫ ম্যাক গতিতে অর্থাৎ শব্দের গতির চেয়ে সাড়ে চার গুণ বেশি গতিতে ভ্রমণ করতে পারে। গান্ডিব ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় ৩৪০ কিলোমিটার এবং ৮ কিলোমিটার উচ্চতায় ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এটি সহজেই শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, বিমানের জ্বালানি এবং AWACS ধ্বংস করতে পারে।
ডিআরডিও 2D এয়ার ইনটেক তৈরি করছে
ডিআরডিও গান্ডিভার র্যামজেট ইঞ্জিনের জন্য 2D এয়ার ইনটেকের চারটি সেট তৈরি করছে। এই এয়ার ইনটেক ইঞ্জিনে সঠিক পদ্ধতিতে বাতাস সরবরাহ করে যাতে ইঞ্জিনটি ভালোভাবে কাজ করে। এই অংশটি ক্ষেপণাস্ত্রের গতি এবং উচ্চতায় স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনীয়। এই সেটগুলি তৈরির কাজটি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রাথমিক মডেল এবং পরীক্ষার জন্য। ডিআরডিও ভূমিতে ইঞ্জিন পরীক্ষা এবং সু-৩০এমকেআই বিমানের প্রাথমিক পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। ২ডি এয়ার ইনটেক নির্মাণ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে।
২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে
গান্ডিব ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত এবং ভারতীয় বায়ুসেনাতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এর জন্য এখনই পরীক্ষা এবং উন্নতি করা হবে। ক্ষেপণাস্ত্রের SFDR প্রযুক্তি সঠিক প্রমাণের জন্য 2D এয়ার ইনটেকের সফল উৎপাদন এবং পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গান্ডিবার আগমন ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং এটি যেকোনো বিমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।