Mamata Banerjee: ‘আমাকে শেখাবেন না’, বলে উঠলেন ক্ষুব্ধ মমতা! হঠাৎ হল কী?

২১ জুলাইয়ের মঞ্চে হিংসা-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ থেকে এ বাংলায় শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের সনদেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট সে…

Mamata Banerjee explained on social media that she did not threaten the doctors and Fonse words have been misinterpreted, ফোঁস-জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি! বিতর্ক বাড়তেই তড়িঘড়ি সাফাই দিলেন মমতা

২১ জুলাইয়ের মঞ্চে হিংসা-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ থেকে এ বাংলায় শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের সনদেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট সে দেশের সরকার। রুষ্ট ঢাকা ইতিমধ্যেই ভারতকে তাদের ক্ষোভ জানিয়েছিল। সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়েসওয়াল। এরপরই বাংলাদেশের বিষয়টি একটি সার্বভৌম দেশের বলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। রাজ্য সরকারের ওই প্রসঙ্গে কথা বলার কোনও এক্তিয়ার নেই বলেও জানানো হয়েছিল। আর তাতেই ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন দিল্লি যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে কিছু শেখাবেন না।’

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো খুব ভালো করেই জানি। আমি সাতবার সাংসদ ছিলাম, দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। আমি বিদেশনীতি অন্য যে কারও চেয়ে ভালো জানি। তাঁদের আমাকে শেখানো উচিত নয়। উল্টে তাঁদের পুরো বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা নেওয়া উচিত।’

   

শিয়ালদহ ডিভিশনে টানা ৮ ঘণ্টা ট্রাফিক ব্লক, শনি-রবি বাতিল প্রচুর লোকাল ট্রেন

ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অশান্তি প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, পড়শি দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি সনদেরও উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকারই বলবে।

Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রোর নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত, স্টেশন থেকে এবার উঠছে টিকিট বুকিং কাউন্টার!

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়েসওয়াল বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আমরা একটি কূটনৈতিক নোট পেয়েছি। আপনারা রিপোর্টে যেমনটা দেখেছেন, খানিকটা সে রকমই। ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলের প্রথম তালিকার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে বিদেশ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় এবং অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত বিষয়ের এক্তিয়ার একমাত্র ভারত সরকারের।’

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের সংযোজন ছিল, ‘এই বিষয়টি যৌথ তালিকায় নেই। আর অবশ্যই রাজ্যের তালিকায় নেই। আমাদের অবস্থানটা স্পষ্ট, সাংবিধানিক এক্তিয়ারের বাইরের কোনও বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’