News Desk: ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত এদিক-ওদিক হলে সেটাকে দুর্নীতি বলা যায় না। এমনটাই মনে করেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ জনার্দন মিশ্র।
এই বিজেপি সাংসদ বলেন, প্রতিদিনই আমার কাছে অনেকেই আসেন সরপঞ্চের (পঞ্চায়েত প্রধান) বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে। কিন্তু এটা বাস্তব যে, একজন সরপঞ্চ প্রার্থীকে ভোটে জিততে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ করতে হয়। পরের ভোটের জন্য তাঁকে আরও ৭ লক্ষ টাকা মজুত রাখতে হয়। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় আরও এক লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই আমি বলি, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দুর্নীতি হলে কেউ আমার কাছে আসবেন না। তবে তার বেশি অংকের দুর্নীতি হলে অবশ্যই আমার কাছে আসতে পারেন। এহেন মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই প্রবল বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ জনার্দন মিশ্র।
রেওয়ার বিজেপি সাংসদের এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলের অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, তাহলে আর্থিক দুর্নীতিরও ভাল মন্দ আছে? কম টাকার দুর্নীতি হলে সেটার কোনও গুরুত্ব নেই, কিন্তু বেশি টাকার হলে সেটাই গুরুতর হয়ে ওঠে এটা কেমন কথা? বিজেপি সাংসদ কি বলতে চাইছেন, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দুর্নীতি হলে সেটা কোন ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ নয়?
উত্তরপ্রদেশের ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বিরুদ্ধে যখন কোটি কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত চলছে সে সময়ে বিজেপি সাংসদের এই বক্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জনার্দন মিশ্রর বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন সেখানে তাঁরই দলের একজন সাংসদ কিভাবে এধরনের মন্তব্য করতে পারেন। এই মন্তব্য করে ওই বিজেপি সাংসদ কার্যত দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী তো বড় গলায় বলে বেড়ান, তিনি চৌকিদার। তিনি নিজে চুরি করবেন না, কাউকে চুরি করতেও দেবেন না। সেক্ষেত্রে তারই দলের একজন সাংসদ কীভাবে এই মন্তব্য করেন? প্রধানমন্ত্রী যদি প্রকৃত দুর্নীতি বিরোধী হন তবে তাঁর উচিত অবিলম্বে এই সাংসদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া।