চীনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত SCO (Shanghai Cooperation Organisation) সম্মেলনে ভারত কার্যকর ও সুসংহত কূটনৈতিক উপস্থিতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিজের অবস্থানকে আরও মজবুত করল। এই সম্মেলনের মঞ্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন–এর সঙ্গে সাক্ষাৎ।(Donald Trump)
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যখন ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে, তখন ভারতের এই কূটনৈতিক দৌত্য অনেকাংশে তাৎপর্যপূর্ণ।
মোদী-শি সাক্ষাৎ: গালওয়ান-পরবর্তী সম্পর্কে নতুন অধ্যায়?
২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চীন সম্পর্ক চরম উত্তেজনার মধ্যে পড়েছিল। সীমান্তে সংঘর্ষের পাশাপাশি কূটনৈতিক সম্পর্কেও দেখা দিয়েছিল ফাটল। দীর্ঘ এই বিরতি কাটিয়ে এবার মোদী ও শি জিনপিং মুখোমুখি বৈঠকে বসেন। এই বৈঠককে দুই দেশই চিহ্নিত করেছে ‘রিসেট মোমেন্ট’ হিসেবে।
এই বৈঠক এমন একটি সময়ে হল যখন ভারত ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ৭৫ বছরে পা রাখল। দুই নেতা বাণিজ্য, সীমান্ত স্থিতিশীলতা, এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন বলে সূত্রের খবর।
যদিও সীমান্ত সমস্যার নিরসন নিয়ে এখনো পর্যন্ত সুস্পষ্ট ঘোষণা আসেনি, তথাপি এই বৈঠককে ভবিষ্যতের সম্পর্ক উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পুতিনের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কের বার্তা
সম্মেলনের আরেক আকর্ষণ ছিল মোদী-পুতিন বৈঠক। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক অনেক পুরনো এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে।
পুতিন ও মোদীর এই সাক্ষাতে দুই নেতার মধ্যে ছিল খোলামেলা হাসি, আন্তরিকতা ও ঘনিষ্ঠতা—যা “বন্ধুত্বপূর্ণ রসায়নের” পরিষ্কার বার্তা দেয়। আলোচনায় উঠে আসে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জ্বালানি নিরাপত্তা ও BRICS-এর ভবিষ্যৎ কাঠামো।
এই বৈঠক পশ্চিমা বিশ্বের একটি বড় বার্তা—ভারত এখনো বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে বিশ্বাসী, এবং কেবল একমুখী জোটের প্রতি নির্ভর করছে না।
ট্রাম্পের সমালোচনা: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক একতরফা”
সিএসও সম্মেলনের সফলতা যখন আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত, তখন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) Truth Social-এ একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন।