মন্ত্রীমশাই লেলিয়ে দিল খ্যাপা কুকুর! খবর করতে গিয়ে দৌড়ে বাঁচলেন মহিলা সাংবাদিক

মহিলা সাংবাদিকের ওপর লেলিয়ে দেওয়া হল কুকুর(Dog Attacks On Journalist)। প্রাণভয়ে পালিয়ে বাচলেন তিনি ও তাঁর ক্যামেরাপার্সন(Dog Attacks On Journalist)। ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে রীতিমতন নরক…

মহিলা সাংবাদিকের ওপর লেলিয়ে দেওয়া হল কুকুর(Dog Attacks On Journalist)। প্রাণভয়ে পালিয়ে বাচলেন তিনি ও তাঁর ক্যামেরাপার্সন(Dog Attacks On Journalist)। ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে রীতিমতন নরক দর্শন হল ওই মহিলা সাংবাদিকের(Dog Attacks On Journalist)। আর এই অপকর্মের ভিলেন আর কেউ নন, স্বয়ং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। এক মন্ত্রীর দুর্নীতির খবর করতে গিয়ে নিজেদেরকে নিয়েই এমন খবর-লেখালেখি হবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও কল্পনা করেননি এই দুই সংবাদকর্মী।

‘কপালটাই খারাপ’,বিধানসভার সিঁড়িতে বসে কপাল চাপড়াচ্ছেন সায়ন্তিকা

   

ঘটনাটি আমাদের পড়শি রাজ্য ওড়িশার। সদ্য সদ্য সেখানে সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে নবীন পট্টনায়েকের দল বিজেডি। কিন্তু ক্ষমতা হারিয়েও দলের নেতদের দাদাগিরি যে কমেনি, এই ঘটনা যেন তারই প্রমাণ(Dog Attacks On Journalist)। অপকর্মের অভিযোগের তীর ওড়িশার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেডি নেতা রঘুনন্দন দাসের বিরুদ্ধে। ওড়িশার প্রথম সারির একটি নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিক চিন্ময়ী সাহু, বিজেডির নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রঘুনন্দন দাসের সরকারি বাংলোতে গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল বিজেডির দাপুটে নেতা প্রণবপ্রকাশ দাসের আমলে তৈরি সরকারি আবাসনের বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে রঘুনন্দন দাসের ইন্টারভিউ করা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ক্যামেরাপার্সন।

প্রথমে কথাবার্তা ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু লাইভ কভারেজের জন্য ক্যামেরা বার করতেই শুরু হয় বিপত্তি। ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলবেন না বলে রীতিমত উত্তেজিত হয়ে ওঠেন রঘুনন্দন। সেই উত্তেজনা, কথা কাটাকাটির পর্যায়ে চলে যায়। দুই সংবাদকর্মীকেই বাংলো ছেলে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য রীতিমতো হুমকি দিতে শুরু করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু মহিলা সাংবাদিক তারপর কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে নাছোড়। এতদূর যখন এসেছেন তখন প্রাক্তন মন্ত্রীর কিছু বক্তব্য তো তিনি নিয়ে যাবেন বলেই মনস্থির করে রেখেছেন। আর তখনই ঘটে বিপদ(Dog Attacks On Journalist)।

বিরোধীদের প্রতি ‘অতি সক্রিয়’ কেন পুলিশ? কড়া বার্তা হাইকোর্টের

বিজেডির প্রাক্তন মন্ত্রী তখন বাড়ির পরিচালককে নির্দেশ দেন তাঁর পোষা বিদেশি কুকুরদের চেন খুলে দিতে। কিন্তু তিনি জানতেন না, রেকর্ডিং-এর জন্য সেট করা ক্যামেরা কোন ফাঁকে অন হয়ে গিয়েছে। গোটা ব্যাপারটির তখন লাইভ টেলিকাস্ট চলছে। অচেনা লোকদের দেখে কুকুরগুলি যখন তাদের তাড়া করা শুরু করে তখন প্রাণভয়ে ওই মহিলা সংবাদকর্মী এবং তার ক্যামেরাপার্সন দুজনেই দৌড়াতে শুরু করেন। কিন্তু সেই সময়েও ক্যামেরা রেকর্ডিং চলতে থাকে। গোটা ঘটনাটা টিভিতে অনেক দর্শকই সে সময় দেখতে পেয়েছেন। মন্ত্রীর নিষ্ঠুরতা এবং আগুনে মেজাজ থেকে শিউরে উঠেছেন সবাই। 

একদিকে আতঙ্কিত মহিলার চিৎকার, অন্যদিকে ক্রমশ তাড়া করে আসা কুকুরদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়। গোটা ওড়িশায় শুধু নয়, দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই থানায় ওই প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রাজ্যের সদ্য ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝিও গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু এখনও অব্দি দুই সাংবাদিকই রীতিমতো আতঙ্কের ঘোরে আছেন। খবর করতে গিয়ে নিজেরাই যে খবর হয়ে যাবেন, এ কথা বোধহয় তাঁদের চরমতম দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি তাঁরা।