সিদ্দারামাইয়ার পূর্ণ মেয়াদী সরকার চালানোর ঘোষণা, শিবকুমারের কঠোর প্রতিক্রিয়া

ভারত, ২ অক্টোবর: কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সরকারের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে চলা গুঞ্জন সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দিয়েছেন এবং দলীয় সদস্যদের এই বিষয়ে…

DK Shivakumar Rejects Power-Sharing Talks After Siddaramaiah Vows to Complete Full Term

ভারত, ২ অক্টোবর: কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সরকারের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে চলা গুঞ্জন সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দিয়েছেন এবং দলীয় সদস্যদের এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করার সতর্কতা দিয়েছেন। একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছিলেন যে, তিনি তার পূর্ণ পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করবেন এবং এই বিষয়ে কোনো সংশয় নেই। শিবকুমার তার বক্তব্যে আরও বলেন, “এ বিষয়ে কোনো আলোচনা চলবে না এবং কেউ এই ধরনের বিষয়ে মন্তব্য করলে তারা দলের ক্ষতি করছে।”

Advertisements

ডিকে শিবকুমার বলেন, “ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে কেউ কথা বলবে না, এর মধ্যে কুনিগাল বিধায়ক ডক্টর এইচডি রঙ্গনাথও আছেন। আমি কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি জি সি চন্দ্রশেখরকে নির্দেশ দিয়েছি যে, একটি নোটিশ জারি করা হোক। ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে কোথায় আলোচনা হচ্ছে? আমি শুধু বলছি, এ বিষয়ে কিছুই আলোচনা করা যাবে না।” শিবকুমার আরও বলেন, “গতকাল সিদ্দারামাইয়া স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, তিনি পূর্ণ পাঁচ বছর তার মেয়াদ শেষ করবেন।

   

এদিকে, সিদ্দারামাইয়া গতকাল এক অনুষ্ঠানে তার মেয়াদী ঘোষণা করে বলেছিলেন, “আমি পাঁচ বছর যাবৎ সরকার চালাব, কোন কিছুই এর বাইরে নয়। এই প্রশ্নে কোনো বিভ্রান্তি বা বিভাজন তৈরির কোনো সুযোগ নেই। যা কিছু শোনা যাচ্ছে, তা শুধুমাত্র গুঞ্জন এবং মিডিয়ার সৃষ্টি। আমি দলের উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুসরণ করব, তবে আমার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করব।”

এখন, যখন ডিকে শিবকুমার ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে কোনো আলোচনা না করার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, তখন শিবকুমারের পদক্ষেপ এবং সিদ্দারামাইয়ার নিশ্চিতকরণে নতুন করে দলের মধ্যে যে একতা ও শক্তির বার্তা দিয়েছে, তা কর্নাটক কংগ্রেসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। কংগ্রেসের অভ্যন্তরে এই অবস্থান স্পষ্টতা প্রদান করে দলের নেতাদের মধ্যে যে কোনো বিভাজন বা বিভ্রান্তি রোধ করা যাবে।

এই বিতর্কের মধ্যে, শিবকুমারের মন্তব্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি কঠোর বার্তা প্রেরণ করেছে, যেখানে তারা দলের ঐক্য বজায় রাখতে এবং কোনো বিভাজন বা অস্থিরতা তৈরি না করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।

কর্নাটকে কংগ্রেসের রাজনীতিতে ক্ষমতার ভাগাভাগির এই আলোচনা নতুন কিছু নয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরও এমন গুঞ্জন উঠেছিল, কিন্তু তখনও সিদ্দারামাইয়া তার পূর্ণ মেয়াদী শাসনের ব্যাপারে স্পষ্ট ছিলেন। তবে এখন, শিবকুমারের মন্তব্য ও সিদ্দারামাইয়ার চূড়ান্ত অবস্থান কংগ্রেসের কৌশলগত দিক থেকে নতুন আঙ্গিকে প্রতিফলিত হয়েছে।