বিজেপির চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত। সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ থেকে ছেঁটে ফেলা হলো একনিষ্ঠ আরএসএস ও সংগঠন বোঝা লোক বলে সুপরিচিত দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। তাঁর নেতৃত্বেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির তীব্র গতিতে উত্থান হয়েছিল। পরে দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়। দেওয়া হয় সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির পদ। এবার সেই পদটিও কেড়ে নিল বিজেপি।
দিলীপ ঘোষ এখন শুধুমাত্র একজন বিজেপি সাংসদ। তিনি মেদিনীপুর থেকে নির্বাচিত সাংসদ হয়েই থাকবেন। পদাধিকার চলে যাওয়ার পর রাজ্যে তাঁর আর কোনও সাংগঠনিক ক্ষমতাই থাকল না বলে মনে করছে বিজেপি মহল ঘনিষ্ঠরা।
বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশে যে নতুন কমিটি তৈরি হয়েছে তাতে সহ সভাপতির পদে আর নেই দিলীপ ঘোষ। সংঘ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিলীপ ঘোষকে ফের আন্দামানেই পাঠানো হতে পারে।
বিজেপির রাফ-টাফ নেতা দিলীপ ঘোষ গত বাম জমানায় রাজ্যে তেমন পরিচিত ছিলেন না। তাঁর উত্থান হয় বাম জমানার পতনের পর। তৃণমূল কংগ্রেস আমলে বিজেপির দলীয় সংগঠন ও আরএসএসের মতাদর্শ নিয়ে দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে আসেন। তাঁকে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছিল। দায়িত্ব নিয়েই তিনি বিজেপির খুঁটি মজবুত করেন।
তবে গত বিধানসভা ভোটে সরকার গঠনের তীব্র বার্তা দিয়েও বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। তারা হয় প্রধান বিরোধী দল। এর পর দিলীপ ঘোষ সংগঠনে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তাঁর বদলে নরমপন্থী বলে পরিচিত সুকাম্ত মজুমদারকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি করা হয়। সেই শুরু দিলীপের সাংগঠনিক ডানা ছাঁটা। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ দেওয়া হলেও তাঁর কোনও কাজ ছিলনা। এবার সেই পদটিও চলে গেল।