দু-বার ভোট দিয়েছেন NDA-শরীক সাংসদ? জল্পনা তুঙ্গে!

পাটনা: বিহারের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর NDA-র শরীক দল লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) সাংসদ সম্ভবি চৌধুরীকে (Shambhavi Chaudhary) নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ পর্বের পর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে সমস্তিপুরের সাংসদ সম্ভবির দুই হাতের তর্জনীতেই ভোটার কালী লাগানো! যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক জল্পনা।

Advertisements

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বুদ্ধ কলোনির সেন্ট পলস স্কুলের পোলিং বুথের বাইরে বাবা অশোক চৌধুরী, যিনি আবার জেডিইউ-নেতা এবং মা নীতা চৌধুরীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন সম্ভবি। তাঁরা তিনজনেই ভোট দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের ‘গণতন্ত্রকের উৎসব’-এর রঙ্গে রাঙানো তর্জনী তুলে দেখাচ্ছেন। কিন্তু সম্ভবির দুই হাতেই ভোটের কালি দেখা যাচ্ছে। এটা কি করে সম্ভব?

   

‘ভোট-চুরি’-র দাবীতে ময়দানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস RJD

প্রসঙ্গত, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার পর বিহারেও ভোট চুরি করতে চলেছে বিজেপি, এনডিএ বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) (Lok Janshakti party) সাংসদ সম্ভবি চৌধুরীর দুই হাতে ভোটের কালি দেখে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধী জোট।

https://x.com/Kanchanyadav000/status/1986703391205302484

আরজেডির জাতীয় মুখপাত্র কাঞ্চনা যাদব এক্সে বলেন, “এটা জালিয়াতির একেবারে নতুন মাত্রা। ইনি হলেন এলজেপি সাংসদ সম্ভবি চৌধুরী (Shambhavi Chaudhary) । তাঁর দুই হাতেই ভোটের কালি দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ তিনি দুবার ভোট দিয়েছেন। বিষয়টি মিডিয়ার সামনে আসতে দেখেই তাঁর বাবা অশোক চৌধুরী তাঁকে চোখ দিয়ে ইশারা করে একটি হাত নামিয়ে নিতে বলেন।”

Advertisements

এরপর নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে আরজেডি মুখমাত্র বলেন, “নির্বাচন কমিশন, এটা কিভাবে হচ্ছে? কে এর তদন্ত করবে?” কংগ্রেসও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি শেয়ার করে ব্যঙ্গাত্মকভাবে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলেছে।

‘ভোটগ্রহণ ত্রুটি’ দাবী অনেকের

একদিকে যেমন সমাজমাধ্যমে সাংসদের বিরুদ্ধে বিদ্রুপ, অভিযোগের ঝড় উঠেছে, অন্যদিকে অনেকেই আবার দুই হাতে ভোটার কালি থাকার বিষয়টিকে ‘ভোটগ্রহণ ত্রুটি’ হিসেবে দাবী করছেন। এক নেটিজেন লেখেন, “ভোটকেন্দ্রের আধিকারিকদের বললে তাঁরা অনেক সময়ই অন্য হাতেও কালি লাগিয়ে দেন। এর সঙ্গে ভোট দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। আমার ৮ বছর বয়সী বোনও একবার আমাদের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিল। আধিকারিকদের অনুরোধ করতে তাঁরা ওর হাতেও কালি লাগিয়ে দেন”।

আরেকজন বলেন, “ভোট দেওয়ার জন্য হাত এবং আঙুল নির্দিষ্ট কড়া থাকে। দুটি ভিন্ন হাতে চিহ্ন থাকলে আপনি দুবার ভোট দিতে পারবেন না।” যে পোলিং কর্মীরা প্রায়শই ভুল করে ভুল হাত বা আঙুলে কালি দিয়ে ভুল করে সংশোধন করে দেন। বাম হাতের বদলে ডান হাত এগিয়ে দিলে ভুলবশত কর্মকর্তারা অনেক সময়ই ভুল হাতে কালি লাগিয়ে দেন।

সমাজমাধ্যম এবং বিরোধীদের ঝড়ের মাঝে এখনও পর্যন্ত যদিও সম্ভবি চৌধুরী (Shambhavi Chaudhary) বা নির্বাচন কমিশনের তরফে ভাইরাল হওয়া ভিডিও সম্পর্কে কোনও মন্তব্য আসেনি। প্রসঙ্গত, ভারতে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা সাধারণত একজন ভোটারের বাম তর্জনীতে অমোচনীয় কালি দিয়ে দাগ দেন। তবে, যদি কোনও ভোটার ভুল করে ডান হাত আগে দেখান, তাহলে কর্মকর্তারা পুনরায় সঠিকভাবে দাগটি প্রয়োগ করতে পারেন, এটি একটি ছোট প্রক্রিয়াগত ত্রুটি যা দ্বিগুণ ভোটদানের সমান নয়।