নয়াদিল্লি: রাস্তায় বেরিয়ে এক অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হন দিল্লির এক তরুণী। আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন উবারের চালক৷ গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট্ট মেয়ে৷ চালক অসুস্থ হতেই খানিক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ওই তরুণী৷ তবে সাহস হারাননি৷ বরং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাড়ির স্টিয়ারিং নিজে হাতে তুলে নেন তিনি। এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনাও শুরু হয়েছে। মহিলার এই সাহসী পদক্ষেপ এবং বিচক্ষণতার প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। (Delhi Woman Takes Control Of Car)
পরিবারের জন্য উদ্বেগ Delhi Woman Takes Control Of Car
ঘটনাটি ১৮ মার্চের। ওই তরুণী তাঁর মা, ঠাকুমা এবং ছোট মেয়েকে নিয়ে গুরগাঁও থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে উবার চালক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। ওই তরুণী বুঝতে পারেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে তাঁর পরিবারকে বিপদে পরতে হবে৷ তাই কোনও রকম আতঙ্কিত না হয়েই তিনি গাড়ির চালকের সিটে গিয়ে বসেন৷ গাড়ির চালককে বসিয়ে দেন যাত্রীর আসনে৷
“জরুরি পরিস্থিতির জন্য ড্রাইভিং শিখুন” Delhi Woman Takes Control Of Car
ওই ভিডিয়োতে তরুণীটি সকলের উদ্দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দিয়েছেন? তিনি বলেন, “এমন পরিস্থিতি যখন তখন আসতে পারে৷ তাই সকলের ড্রাইভিং শিখে রাখা উচিত। আপনি যদি গাড়ি চালাতে পারেন, তাহলে আপনি এমন কোনও পরিস্থিতিতে সহায়তা করতে পারবেন।” তিনি আরও বলেন, “এটা আমার জন্য স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল না, কিন্তু আমি জানতাম কীভাবে কাজ করতে হবে।”
এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণীর সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য প্রশংসা করা হয়েছে। অনেকেই তাঁর মনোবল এবং দ্রুত পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, “এটি সত্যিই মানবিকতা, ভাল কাজ করেছেন।” আবার অন্যরা বলেছেন, “সত্যি বলতে, সবারই ড্রাইভিং শেখা উচিত।”
ক্যাব সার্ভিসে জরুরি পরিকল্পনা প্রয়োজন? Delhi Woman Takes Control Of Car
তবে, এই ঘটনা একটি বড় প্রশ্নও তুলে ধরেছে — যদি যাত্রীদের মধ্যে কেউ গাড়ি চালাতে না জানেন, তবে তারা কী করবেন? অনেকেই মনে করছেন, রাইড-হেইলিং কোম্পানিগুলোর উচিত এমন পরিস্থিতির জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া, যাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
এই ঘটনায় রাইড-হেইলিং সার্ভিসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং জরুরি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। একে একটি বড় বিষয়ে পরিণত করেছে নেটিজেনরা, এবং এর প্রেক্ষিতে কোম্পানিগুলোর নিরাপত্তা নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি উঠছে।