কলকাতা: সোমবার সন্ধে ৬.৫২ মিনিটে ভয়ঙ্কর গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী। ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছেই এই বিস্ফোরণে এখনও মৃতের সংখ্যা ১০ এবং আহত ২২। এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার নিয়েছিল NIA। তাদের তদন্তেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত বাংলার এক ডাক্তার। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার এই ডাক্তারের নাম জানিসার আলম এবং তিনি আল ফালাহ য়ুনিভার্সিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সূত্রের খবর বলছে তিনি লুধিয়ানাতে থাকলেও তার আদি বাড়ি উত্তর দিনাজপুরে ডালখোলা থানার অন্তর্ভুক্ত কোনাল গ্রামে। লুধিয়ানাতে গিয়ে বসবাস শুরু করলেও উত্তর দিনাজ পুরের সঙ্গে তার সংযোগ ছিল। কয়েকদিন আগে এক আত্মীয়ার বিয়েতে যোগ দিতে জানিসার কোনাল গ্রামে আসে এবং তখনই তাকে আটক করা হয়। তদন্তে আগেই জানিসারের নাম উঠে এসেছিল শুক্রবার NIA তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
ছক্কা হাঁকিয়ে ক্রিকেটের ননন্দকাননে নজিরবিহীন রেকর্ড পন্থের
NIA জানিয়েছে মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এই কাজ খুব সহজ হয়েছে। জানিসারকে গ্রেফতার করে প্রথমে ইসলামপুর এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তের কাকা আবুল কাশেম বলেন তারা জানিসারকে ভালো পড়ুয়া হিসেবেই জানেন কিন্তু জানিসারের এই গোপন কর্মকান্ডের ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।
পরিবারের দাবি জানিসার কোনোরকম অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত নয়। আবার তারা বলছেন যে দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে জানিসারের সমস্ত বন্ধুদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাই জানিসারকেও আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে কোনাল গ্রামে। গ্রামবাসীরা বলেছেন যে ছেলেকে তারা ছোটবেলা থেকে ভদ্র সভ্য এবং ভালো ছাত্র হিসেবে দেখেছেন তার বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ সত্যিই অবিশাস্য।
কিন্তু এটাও ঠিক মানুষ কখন নিজের অজান্তেই অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু গ্রামবাসীরা বলেছেন জানিসারদের পরিবার অত্যন্ত শিক্ষিত পরিবার এবং পরিবারের ছেলে হয়ে কিভাবে তার নাম এই বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে জড়াল তা সত্যিই রহস্য। এখন NIA কি পদক্ষেপ নেবে তার উপরে নির্ভর করছে এই কেসের ভবিষ্যৎ।


