প্রতিটি কোণে কমান্ডো, ১৪৪ ধারা এবং ৫০০ সিসিটিভি… মোদীর শপথে দুর্গে রূপান্তরিত দিল্লি

আজ ৯ জুন সন্ধ্যা ৭.১৫ মিনিটে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী দেশের অনেক রাষ্ট্রপ্রধানও যোগ…

Narendra Modi's Swearing-in Ceremony

আজ ৯ জুন সন্ধ্যা ৭.১৫ মিনিটে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী দেশের অনেক রাষ্ট্রপ্রধানও যোগ দেবেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শপথগ্রহণের কারণে শনিবার রাতেই রাজধানী দিল্লি পুরোপুরি দুর্গে পরিণত হয়েছে। বিদেশি নেতাদের শপথ গ্রহণ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং নর্থ সাউথ ব্লকের প্রতিটি মোড়ে কমান্ডো ও পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

নিরাপত্তা প্রোটোকলের অংশ হিসাবে, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি ভবনের ভিতরে এবং বাইরে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন, পিটিআই জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের রিংয়ের বাইরে দিল্লি পুলিশের কর্মী মোতায়েন করা হবে, আর আধা-সামরিক বাহিনী অভ্যন্তরীণ রিংয়ে মোতায়েন করা হবে। আধাসামরিক বাহিনীর পাঁচটি কোম্পানি এবং দিল্লি সশস্ত্র পুলিশ (ডিএপি) কর্মী সহ প্রায় ২৫০০ পুলিশ কর্মীকে নিরাপত্তার জন্য অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

   

বিদেশি অতিথিদের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
শপথ গ্রহণের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আগত বিদেশি অতিথি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্যও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার কনভয় যেসব রুটে যাবে সেসব রুটে স্নাইপার ও সশস্ত্র পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। আরও ভালো পর্যবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন স্থানে ড্রোন মোতায়েন করা হবে।

দিল্লি নো ফ্লাইং জোন ঘোষণা করেছে
দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই রাজধানীকে নো ফ্লাইং জোন ঘোষণা করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা ৯ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লিতে প্যারাগ্লাইডার, হ্যাং গ্লাইডার, ইউভি, ইউএএস, মাইক্রোলাইট এয়ারক্রাফ্ট ইত্যাদি উড়তে ও উড়তে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শপথ অনুষ্ঠানে আগত বিদেশি অতিথিরা যেসব হোটেলে থাকবেন সেখানেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অতিথিদের প্রোটোকল অনুযায়ী হোটেলের নিরাপত্তা হালনাগাদ করা হচ্ছে।

৫০ জন ধর্মীয় নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে
অনেক বিদেশী নেতা ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের ৫০ জন ধর্মীয় নেতাও শপথ গ্রহণে অংশ নেবেন। এ ছাড়া আইনজীবী, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রভাবশালীসহ আরও অনেক ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পদ্মবিভূষণ এবং পদ্মভূষণের মতো পুরস্কারে সম্মানিত ব্যক্তিরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
বিশ্বের বড় বড় নেতারা শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন

বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও সেশেলসের শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেসহ আরও কয়েকটি দেশের নেতারা ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ পেয়েছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল ‘প্রচন্ড’, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগনাউথ এবং সেশেলসের রাষ্ট্রপতি ওয়েভেল রামকালাওয়ান মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন এমন নেতাদের মধ্যে রয়েছেন। এই নেতাদের অনেকের দিল্লি পৌঁছানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।