আজ রবিবার সকালে দিল্লির (Delhi) ভজনপুরায় রাস্তায় অবস্থিত মন্দির ও সমাধির ওপর প্রশাসনের বুলডোজার চলে। তবে বুলডোজার চালানোর আগে এডিসিপি সুবোধ গোস্বামী নিজেই মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেন। প্রশাসন এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। বলা হচ্ছে, ওয়াজিরাবাদ রোডে ঘেরাটোপ সরাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে গণপূর্ত দফতরের (পিডব্লিউডি) আধিকারিকরাও উপস্থিত রয়েছেন।
একই সঙ্গে দিল্লি পুলিশ জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে। পুলিশও ড্রোন দিয়ে এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা সিল করে দিয়েছে। গণপূর্ত দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, ফ্লাইওভার নির্মাণের পাশাপাশি এখানে রাস্তা প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ কারণে মন্দির ও সমাধি অপসারণ করা হয়।
আধিকারিকদের মতে, দখল উচ্ছেদের ফলে এখানকার মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। ভজনপুরা চকে প্রায়ই জ্যাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, দখল উচ্ছেদ হলে এ সমস্যা থেকে মানুষ অনেকাংশে রেহাই পাবে। জেসিবি দিয়ে মন্দির ও সমাধি সরানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মন্দির ভাঙার আগে অতিরিক্ত ডিসিপি সুবোধ গোস্বামী নিজেই প্রার্থনা করেছিলেন। মূর্তিগুলো সম্মানের সঙ্গে অপসারণ করা হয়। এর পর মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়৷
<
p style=”text-align: justify;”>।মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ বাহিনী
এর আগেও সড়ক থেকে দখল উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে মানুষ। বলা হচ্ছে, মন্দির ও দরগাহ অপসারণের পরই জায়গাটিকে সমতল করে রাস্তার রূপ দেওয়া হবে। পুলিশ সদস্যদের অসামাজিকদের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, কেউ উপদ্রব ছড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পিডব্লিউডি-র নির্দেশেই এই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে