দিল্লিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সেই শুনানিতে দিল্লি সরকারকে তীব্র ভর্ত্সনা করে হাইকোর্ট। মামলার শুনানির সময় হাই কোর্টে একের পর এক ধমক খেতে হল পুরনিগমকে।
অভিষেকের নজরে ডায়মন্ড হারবর, দিল্লি থেকেই ফিরেই বড় পদক্ষেপ?
দিল্লির পুর প্রশাসনের তরফে সার্বিক পরিকাঠামোতেও যে বদলের প্রয়োজন, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের মন্তব্য, শহরের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ছ’তলা ভবন বানানোর অনুমতি দেওয়া হলেও, পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ারেরা জলনিকাশির জন্য অতিরিক্ত পাম্পের দিকে গুরুত্ব দেননি।
বৃহস্পতিবারই পুরনিগমের ডিরেক্টরকে হাইকোর্টে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ।
বাতিল আইএএস পদ, পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ইউপিএসসি-র
পাশাপাশি দিল্লির বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেছে হাইকোর্ট। হাই কোর্টের মন্তব্য, এই ব্যবস্থার জন্যই সরকার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত টাকা জোগাড় করে উঠতে পারছে না। আদালত বলে, “পুর প্রশাসন দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। যদি আপনাদের বেতন দেওয়ারই টাকা না থাকে, তা হলে পরিকাঠামো উন্নয়ন কী ভাবে করবেন? আপনারা চান সব কিছু বিনা খরচে দিতে। ফলে আপনাদের হাতে টাকা আসছে না, খরচও করতে পারছেন না।”
গাজা প্যালেস্টাইনের পর লেবানন, সিরিয়া, মধ্যপ্রাচ্যে একের পর এক হামলায় উন্মত্ত ইজরায়েল
যদিও আপ সরকারের এই বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে অতীতে কেজরিওয়ালকে কাঠগড়ায় তুলেছিল বিজেপি। সেই সময় বিষয়টি রাজনৈতিক মোড় নেওয়ায় বিতর্ক হয়েছিল যথেষ্টই। কারণ এই বিনামূল্যে পরিষেবার মাধ্যমেই একের পর এক ভোটে আপ বাজিমাত করেছে বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। তবে এবার দিল্লি হাইকোর্টের ভর্ত্সনায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে কেজরিওয়াল সরকারকে। এমনটাই মনে করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল।