মণীশ-সত্যেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন শাখার তলব, তদন্তে নতুন মোড়

দিল্লির প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)  ও তাঁর সহযোগী সত্যেন্দ্র জৈন ফের এক বড় দুর্নীতি মামলায় ধাক্কা খেলেন। ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে(Manish…

Delhi Former Ministers Manish Sisodia and Satyendar Jain Called by ACB Amid Corruption Probe

দিল্লির প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)  ও তাঁর সহযোগী সত্যেন্দ্র জৈন ফের এক বড় দুর্নীতি মামলায় ধাক্কা খেলেন। ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে(Manish Sisodia)  এবার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন শাখা (এবিসি)। গত এপ্রিল মাসে সরকারি স্কুলে ক্লাসরুম নির্মাণের(Manish Sisodia)  নামে এই বিশাল অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে FIR দায়ের হওয়ার পর এবিসির এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক মহলে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।(Manish Sisodia)  

দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তে জানা গিয়েছে, মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)  যখন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন(Manish Sisodia)  , তখন সরকারি স্কুলের উন্নয়ন ও ক্লাসরুম নির্মাণের জন্য যে বরাত দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ওই সময়ে মোট ১২,৭৪৮টি ক্লাসরুম নতুন করে তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছিল। প্রতি ক্লাসরুম নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল প্রায় ২৪.৮৬ লক্ষ টাকা, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।(Manish Sisodia)  

   

তদন্তকারীরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে এমন কোনো কাজ করা হয়নি,(Manish Sisodia)  বরং প্রয়োজনের তুলনায় অসংখ্য অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। (Manish Sisodia)  পাশাপাশি, ওই সময় ৩৪ জন ঠিকাদারকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেই আপ সরকারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বরাতের শর্ত ছিল, ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হবে, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটিও ক্লাসরুম নির্মাণ হয়নি।(Manish Sisodia)  

এই অভিযোগ ও তথ্যের ভিত্তিতে দিল্লি বিজেপি নেতারা মণীশ সিসোদিয়া(Manish Sisodia)  ও তাঁর দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলেছিলেন। গত ৩০ এপ্রিল দুর্নীতি দমন শাখা এই মামলায় FIR দায়ের করে। এর পরপরই তদন্তে গতি এসে গিয়েছে। এবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যেন্দ্র জৈনকে আগামী ৬ জুন এবং মণীশ সিসোদিয়াকে ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।(Manish Sisodia)  

রাজনৈতিক মহলে এই মামলা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।(Manish Sisodia)  কেবল মণীশ ও সত্যেন্দ্র নয়, বিজেপি নেতারা বলছেন এই দুর্নীতিতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও যুক্ত আছেন। দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব অভিযোগ করেছেন, এই মামলার তদন্তে(Manish Sisodia)  কেজরিওয়ালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। কারণ, শিক্ষামন্ত্রী পদে থাকা অবস্থায় মণীশের সব কাজ অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ও নজরদারির মধ্যে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।(Manish Sisodia)  

২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দিল্লির শিক্ষা ক্ষেত্রে আপ সরকার(Manish Sisodia)  নানা ধরনের উন্নয়নের কথা বললেও, এ ধরণের দুর্নীতির অভিযোগ সরকারের ভাবমূর্তির জন্য বড় ধাক্কা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৫ সালের ভোটের আগে এই দুর্নীতি মামলাগুলো আপ সরকারের উপর চাপ তৈরি করবে, যা বিরোধীদের জন্য বড় সুবিধা দিতে পারে।(Manish Sisodia)  

Advertisements

অন্যদিকে, আপ শিবির এই (Manish Sisodia)  অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে(Manish Sisodia)  , এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।(Manish Sisodia)  তাদের দাবি, মণীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈন শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক উন্নত কাজ করেছেন, এবং এই মামলাটি বেমৌসুমী। তবে এবিসি তদন্তের আগেই এসব দাবি ও জবাব রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও তীব্র করেছে।(Manish Sisodia)  

দুর্নীতি দমন শাখার তদন্ত কবে শেষ হবে এবং এর ফলাফল কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রাজনৈতিক মহলের নজর এখন মণীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈনের আগামী জিজ্ঞাসাবাদের দিকে।(Manish Sisodia)  

এই মামলার ফলে দিল্লির রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। আপ (Manish Sisodia)  সরকারের জন্য এটি একটি কঠিন সময়, যেখানে জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাস হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি, বিজেপি এই দুর্নীতি মামলাকে ভোটের আগে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে(Manish Sisodia)  

পরবর্তী দিনগুলোতে এ (Manish Sisodia)  বিষয়ে আরও তথ্য আসার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দিল্লির শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তবে আপ সরকারের প্রতি জনমতের প্রভাব বড় ধরনের হতে পারে।(Manish Sisodia)