প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য সুখবর। আরও শক্তিশালী হচ্ছে দেশের বায়ুসেনা (Indian Air Force)। উত্তর ও পশ্চিম সীমানার দুই তথাকথিত শত্রু প্রতিবেশি দেশ চিন ও পাকিস্তানকে চমকে দিয়ে কেন্দ্র হাতে পাবে অ্যাপাচে, চিনুকের মত চপার (Chinook Chopper)। অ্যাপাচের মত মার্কিন যুদ্ধ চপারের ব্যবহার আগে থেকেই করে ভারত। এবার সেই সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে।
বিমান নির্মাতা বোয়িং সংস্থা জানিয়েছে ভারত অতিরিক্ত চিনুক CH-47F(I), চিনুক হেভি-লিফ্ট হেলিকপ্টার এবং AH-64E অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে। বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে ইন্টারন্যাশনাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিফেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট টার্বো সোজোগ্রেন জানিয়েছেন এই তথ্য। তিনি বলেন একটি ব্যাপারে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী যে যে চপার ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তার গুণমান বিশ্বমানের। F/A-18 এবং F/A-18F ভারতীয় বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজগুলিকে পরিচালনা করতে পারে।
এক ভার্চুয়াল সাক্ষাতকারে টার্বো বলেন রাফালে-এমের টুইন সিটার ট্রেনার ভার্সনটি ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে না। তাই চিনুক ও অ্যাপাচের ডিল হলে, তা ভারতের জন্য বড় লাভের হবে। কারণ এই সংখ্যা নেহাত কম নয়। অ্যাপাচের মধ্যে থাকে একাধিক সমরাস্ত্র মজুত করার ক্ষমতা। আকাশ থেকে মাটি ছুঁতে পারে এমন ঘাতক মিসাইল বইতে পারে এই শক্তিশালী হেলিকপ্টার। ৭০ এমএম হাইড্রা রকেট ছাড়াও আকাশ থেকে আকাশে
স্টিনজার মিসাইল ছোড়ার ক্ষমতা ধরে এই চপার। অ্যাপাচে দেশের অস্ত্রাগারে সেই প্রথম চপার, যা এয়ার টু এয়ার ক্ষেপনাস্ত্র হামলা করতে সক্ষম। অ্যাপাচে-র মধ্য়ে রয়েছে ৩০ এমএম-এর একটি চেন গান। যেই চেন-এ ১২০০ রাউন্ড গুলি থাকে। রাতেও সহজেই বিপক্ষের ওপর হামলা চালাতে সক্ষম এই অ্যাপাচে। নাইট ভিশন ক্যামেরা থাকায় সহজেই শত্রুদের চিহ্নিত করতে পারে চপার।
বোয়িংয়ের তরফে জানানো হয়েছে নৌবাহিনী প্রাথমিকভাবে এই চুক্তির আওতায় ৫৭টি বিমানের কথা বলেছিল। সেই সংখ্যা অবশ্য কমানো হতে পারে। দেশীয়ভাবে প্রস্তুত বিক্রান্ত অগাষ্টেই কাজ শুরু করতে তৈরি। তাই ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে ফাইটার জেট প্রয়োজন।