পাকিস্তানে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুমকি রাজনাথের

নাম না করে ফের পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর হুমকি দিলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। একইসঙ্গে ইঙ্গিত দিলেন, কাশ্মীর থেকে সেনাবাহিনীর…

নাম না করে ফের পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর হুমকি দিলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। একইসঙ্গে ইঙ্গিত দিলেন, কাশ্মীর থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পা প্রত্যাহার করা হতে পারে।

শনিবার অসমের (Assam) গুয়াহাটিতে এক অনুষ্ঠানে জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে রাজনাথ বলেন, সীমান্ত পেরিয়ে এসে যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে হামলা চালানো হয় তাহলে আমরা কিন্তু কাউকেই রেয়াত করব না। প্রয়োজনে আমরা সীমান্ত টপকে গিয়ে হামলাকারীদের চরম শিক্ষা দেব। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মূলত পাকিস্তানের মদত পুষ্ট জঙ্গিদের উদ্দেশ্যেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর হুমকি দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া প্রবীণ যোদ্ধাদের এদিন গুয়াহাটিতে সংবর্ধনা দেয় কেন্দ্র। ওই অনুষ্ঠানেই রাজনাথ বলেন, জঙ্গিদের সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করতে হয় সেটা আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। এটা জানার পরও কেউ যদি সীমান্ত টপকে এসে হামলা চালায় এবং ফিরে গিয়ে অন্য দেশে লুকিয়ে থেকে মনে করে বেঁচে যাবে তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় কেউ যদি আঘাত হানে তাহলে তাদের উচিত শিক্ষা দিতে আমরা সীমান্ত অতিক্রম করতে দুবার ভাবব না।

এদিনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রশংসা ও শোনা গিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই আমরা দেখছি, দেশের পশ্চিম সীমান্তের তুলনায় পূর্ব সীমান্ত একেবারেই শান্তিপূর্ণ। এর কারণ পূর্ব সীমান্তে বাংলাদেশের মতো এক শান্তিপ্রিয় প্রতিবেশী দেশ রয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বীকার করে নেন, পূর্ব সীমান্তে অনুপ্রবেশে সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে থেকে রাজনাথ সিং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন আফস্পা প্রত্যাহারের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা এএনআই রাজনাথকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন শাখাই চায়, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা হোক। ইতিমধ্যেই আমরা অসম, মনিপুর ও নাগাল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করেছি। কারণ ওই সমস্ত এলাকায় শান্তি ফিরেছে। একইভাবে কাশ্মীরেও শান্তি ফিরে এলে সেখানেও আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।