Ban Cryptocurrency: দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দেশে জনপ্রিয়তা বাড়লেও ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (central goverment)। সরকারের আশঙ্কা, এই ডিজিটাল মুদ্রা ঠিকমতো ব্যবহার করা না হলে…

Cryptocurrency

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দেশে জনপ্রিয়তা বাড়লেও ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (central goverment)। সরকারের আশঙ্কা, এই ডিজিটাল মুদ্রা ঠিকমতো ব্যবহার করা না হলে একদিকে যেমন দেশের অর্থনীতিতে (economy) বিপর্যয় নেমে আসতে পারে, তেমনই এই মুদ্রা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

কারণ সন্ত্রাসবাদী (terroist) কার্যকলাপেও এই ডিজিটাল মুদ্রা ব্যাপক ব্যবহার হতে পারে। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ দিক মাথায় রেখে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে (winter season) ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র।

সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে এবার ২৬টি বিল সংসদে পেশ হতে পারে। যার মধ্যে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল অন্যতম। এছাড়াও অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলির মধ্যে রয়েছে ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল ২০২১’। এই বিল পাসের মাধ্যমে দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা হতে পারে। তবে অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে না এনে এই বিল পেশ হতে পারে দ্বিতীয় সপ্তাহে।

কেন্দ্রের এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার দর মুখ থুবড়ে পড়েছে। একইভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিটকয়েনের বাজার দরও। জানা গিয়েছে কেন্দ্রের এই পরিকল্পনার কথা জানান পর ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার দর ১৫ শতাংশ, বিটকয়েনের ১৭ শতাংশ, ইথেরিয়ামের ১৫ শতাংশ এবং টেথারের দাম ১৮ শতাংশ কমেছে।

যদিও সূত্রের খবর, এখনই ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটছে না কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ছাড় দওওয়া হতে পারে। এজন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে একটি পরিকাঠামো তৈরি করার কথা ভাবছে। তবে দেশের সমস্ত বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তি ও তার ব্যবহার সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরির জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আরবিআই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত লাভের আশায় যেভাবে ডিজিটাল বিনিয়োগ বাড়ছে তা দেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সম্প্রতি বেশকিছু বেসরকারি সংস্থা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে মোটা টাকা ফেরত পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এই বিজ্ঞাপন প্রচারিত হতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কা, এ ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে দেশের যুব সম্প্রদায়কে বিপথে চালিত করা হতে পারে।