বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’ (Cyclone Montha) ধীরে ধীরে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। IMD জানিয়েছে, নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাতে এটি অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে — বিশেষ করে মাচিলিপটনম ও কাকিনাদার মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে East Coast Railway ইতিমধ্যেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে ভিসাখাপত্তনম, কিরান্ডুল, রাজামুন্দ্রি ও কাকিনাদা বন্দরে মিলিয়ে মোট ৪৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং তামিলনাড়ু–র রেল যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বাতিল হওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের তালিকা:
VSKP–KRDL Express (18515) – ২৭ অক্টোবর
KRDL–VSKP Express (18516) – ২৮ অক্টোবর
VSKP–KRPU Express (18512) – ২৭ অক্টোবর
KRPU–VSKP Express (18511) – ২৮ অক্টোবর
VSKP–Guntur Double Decker (22875) – ২৮ অক্টোবর
GNT–VSKP Double Decker (22707) – ২৭ অক্টোবর
এছাড়া আরও একাধিক প্যাসেঞ্জার ও MEMU ট্রেনও বাতিল হয়েছে।
IMD–র সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, আগামী কয়েক ঘণ্টায় মোন্টা উত্তর–উত্তর-পশ্চিমমুখী হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে প্রবল বেগে আছড়ে পড়বে। ল্যান্ডফলের সময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৯০–১০০ কিমি, দমকা হাওয়ার গতিবেগ ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এর সঙ্গে ভারী থেকে অতি-ভারী বৃষ্টিপাত, বজ্রসহ ঝড় ও সমুদ্র উত্তাল থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা (Red Alert), ওড়িশা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও কেরলে কমলা সতর্কতা (Orange Alert) জারি করেছে IMD। ওড়িশার কাটক, ভদ্রক, বালেশ্বর, কেন্দ্রপাড়া জেলায় ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে জেলেদের সমুদ্রে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন উপকূলবর্তী গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। উদ্ধার দল, নৌবাহিনী, এনডিআরএফ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার আশঙ্কা। ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। রেল, সড়ক ও বিমান যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি দপ্তরগুলির অনেক স্থানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।


