মাওবাদী সংগঠনে চিড়? আত্মসমর্পণ নিয়ে দুই শীর্ষ নেতার দ্বন্দ্ব!

হায়দরাবাদ: আত্মসমর্পণ করা নিয়ে মাওবাদী (Maoist) সংগঠনের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল! তেলেঙ্গানার উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা (Intelligence) সূত্রে খবর, আদর্শিক প্রধান মাল্লুজুলা ভেনুগোপাল রাও ওরফে সোনু আত্মসমর্পণ করে…

হায়দরাবাদ: আত্মসমর্পণ করা নিয়ে মাওবাদী (Maoist) সংগঠনের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল! তেলেঙ্গানার উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা (Intelligence) সূত্রে খবর, আদর্শিক প্রধান মাল্লুজুলা ভেনুগোপাল রাও ওরফে সোনু আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছেন। অন্যদিকে, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং CPI (মাওবাদী) এর সশস্ত্র শাখা কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের প্রাক্তন প্রধান থিপ্পিরি তিরুপতি ওরফে দেবুজি চাইছেন সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যেতে।

এই নিয়ে কার্যত দুই দলে ভাগ হয়ে গিয়েছে তেলেঙ্গানার মাওবাদী সংগঠন। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ বিভাজনের ইঙ্গিত দিয়ে সোনু জানিয়েছিলেন, “ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) সাময়িকভাবে আত্মসমর্পণ এবং কেন্দ্রের সাথে শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। ১৫ আগস্ট লেখা চিঠিটা সম্প্রতি ১৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়। সেখানে আরও বলা হয়, “দলের নিহত প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, বাসভরাজু আত্মসমর্পণের পক্ষে ছিলেন। বর্তমান জাতীয় এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের আমরা অস্ত্র ত্যাগ করে মূলধারায় যোগদান করতে প্রস্তুত”।

   

এরপরেই ১৯ সেপ্টেম্বর মাওবাদী (Maoist) দলের তেলেঙ্গানা রাজ্য কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত দ্বিতীয় চিঠির অংশ সামনে উঠে আসে, যেখানে বলা হয় সোনুর চিঠিটি কেবল তার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় চিঠিটিতে রাজ্য কমিটির মুখপাত্র জগনের স্বাক্ষর দেখা যায়।

দলের তরফে পরপর দুটি ভিন্নমত পোষিত চিঠি প্রকাশিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জল্পনার সৃষ্টি হয়। তবে এখানেই শেষ নয়। এরপর দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, পলিটব্যুরো এবং দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির পক্ষ থেকে আরেকটি চিঠি লেখা হয়, যেখানে সোনুর অবস্থানকে “রাষ্ট্রদ্রোহ” বলে অভিহিত করা হয়। তৃতীয় চিঠিতে অস্ত্র সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করার বিষয়টি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়, “শত্রুদের কাছে আত্মসমর্পণ করে মূলধারায় ফিরলে নিপীড়িত জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। এটি আমাদের নীতি নয়।”

Advertisements

গোয়েন্দা আধিকারিকদের বক্তব্য

সংগঠন কর্তৃক প্রকাশিত তিনটি চিঠি নিয়ে গোয়েন্দা আধিকারিক বলেন, “প্রথম দুটি চিঠি থেকে রাজ্যের মাওবাদী সংগঠনে যে চিড় ধরেছে তা স্পষ্ট। বিগত প্রায় এক বছর ধরে সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। মহারাষ্ট্রে এক বছর আগেই আত্মসমর্পণ করেছেন সোনুর স্ত্রী। সেপ্টেম্বরেই তেলেঙ্গানায় তাঁর ভাই কিষেনজির স্ত্রী পি পদ্মাবতী আত্মসমর্পণ করেন।”

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News