যৌন হেনস্থার অভিযোগে যন্তরমন্তরের ধর্না মঞ্চ থেকে কুস্তিগীরদের সাথেই (wrestlers protest) দিল্লিতে গ্রেফতার হলেন সিপিআইএম (CPIM) পলিটব্যুরো সদস্য ও প্রাক্তন সাংসদ (subhasini ali) সুভাষিনী আলি। দেশের শীর্ষ কমিউনিস্ট নেত্রীর গ্রেফতারির ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্ক আরও বাড়ল।
কানপুরের প্রাক্তন বাম সাংসদ ও সর্বভারতীয় মহিলা নেত্রী সু়ভাষিনী আলির পাশাপাশি গ্রে়ফতার করা হয়েছে আরও এক বাম নেত্রী জগমোতি সাঙ্গোয়ানকে। তিনিও প্রাক্তন জাতীয় ভলিবল ক্রীড়বিদ। কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়িয়ে গ্রেফতার হয়েছেন সিপিআই(এমএল) সহ বিভিন্ন বামপন্থী দলের কর্মীরা।
ক্রীড়া ইতিহাসে একসাথে একইদিনে এতজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের হেফাজত বিশ্বে বেনজির ঘটনা। আটক হওয়া কুস্তিগীরদের বেশিরভাগ অলিম্পিক পদক বিজেতা ও বিশ্বজয়ী।
কুস্তিগীরদের অভিযোগের নিশানায় বিজেপি সাংসগ ব্রিজভূষণ। তিনি জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে দিল্লির যন্তরমন্তরে চলছিল কুস্তিগীরদের বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ হটিয়ে দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ব্রিজভূষণকে পদচ্যুত ও গ্রেফতারির দাবিতে অনড় কুস্তিগীররা বারবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বার্তা দেন। চলে অবস্থান বিক্ষোভ। রবিবার তাঁরা নতুন সংসদ ভবনের দিকে মিছিল করে যেতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। শুরু হয় কুস্তিগীর ও পুলিশের মল্লযুদ্ধ। তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়।
দিল্লির আইন ও শৃঙ্খলার বিশেষ সিপি দেবেন্দ্র পাঠক জানান, আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন আমরা যথাসময়ে তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেব।
পিটিআই জানাচ্ছে ভিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিক এবং বজরং পুনিয়াকে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়। কুস্তিগীরদের বাসে ঠেলে দিয়ে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীররা গত ২৪ এপ্রিল কুস্তি ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউএফআই) প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন পুনরায় শুরু করেছিলেন।