কেরলের (Kerala) প্রাক্তন স্বাস্খ্যমন্ত্রী ও সিপিআইএম (CPIM) নেত্রী কে কে শৈলজা (KK Shailaja) ফিরিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক সম্মাননা ম্যাগসেসে পুরস্কার। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পরই তীব্র আলোড়িত আন্তর্জাতিক মহল। দেশেও ছড়িয়েছে বিতর্ক। তবে শৈলজা তাঁর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন।
করোনা ও নিপা ভাইরাসকে যথাসম্ভব ঠেকিয়ে ও অতিমারি পরিস্থিতিতে সামাজিক চিকিৎসা পরিষেবার বহুল ব্যবহারে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল দেশের একমাত্র বামপন্থী শক্তিতে পকিচালিত কেরল রাজ্য সরকার। সিপিআইএম নেতৃত্বে চলা কেরলের এলডিএফ সরকারের মু়খ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন শৈলজা।
কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বে সর্বাধিক আলোচিত ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পান শৈলজা। এর ভিত্তিতে রামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন তাদের ২০২২ সালের ৬৪ তম পুরস্কার প্রাপক হিসেবে সিপিআইএম নেত্রী কে কে শৈলজাকে মনোনীত করে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিপা ও কোভিড রোধে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকাকে স্বীকৃতি জানায় ম্যাগসেসে কমিটি।
এর পরেই বিতর্ক শুরু। কে কে শৈলজা পুরস্কার নেওয়ার বিষয়ে সিপিআইএমের সিদ্ধান্ত জানতে চান। কেরল রাজ্য কমিটি বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরোর কাছে পাঠায়। সবদিক খতিয়ে দেখে সিপিআইএম সিদ্ধান্ত নিয়েছে ম্যাগসেসে পুরস্কার নিতে পারবেন না শৈলজা। দলী়য সিদ্ধান্ত জানার পর কে কে শৈলজা ম্যাগসেসে কমিটিকে জানান তিনি পুরস্কার গ্রহণে অক্ষম।
সিপিআইএম প্রথমত মনে করেছে, ফিলিপিন্সের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রামম ম্যাগসেসে সেদেশের কমিউনিস্ট গেরিলাদের খুন করিয়েছিলেন। তাঁর নামাঙ্কিত পুরস্কার গ্রহণ করলে দলীয় ভাবমূর্তিতে দাগ লাগবে।
সিপিআইএমের দ্বিতীয় যুক্তি, কে কে শৈলজা ব্যক্তিগত চেষ্টায় কিছু করেননি। তিনি শুধু মন্ত্রী ছিলেন। কোভিড ও নিপা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কেরল সরকারের হয়ে তিনি কাজ করেছিলেন।