রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ বাতিল ইস্যু বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় দাঁড় করিয়ে দিল। তীব্র বিতর্কে জড়িয়েছে শাসকদল বিজেপি। কেরলের ওয়েনাড (Wayanad) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন রাহুল গান্ধী। এই কেন্দ্রে এবার উপনির্বাচন হবে। ওয়েনাড ঘিরে তৈরি হচ্ছে কংগ্রেস (Congress) বনাম সিপিআইয়ের (CPI) ঠাণ্ডা লড়াই। কারণ এই কেন্দ্রে সর্বশেষ সিপিআইকে পরাজিত করেই সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দোষী প্রমাণিত হন রাহুল গান্ধী। তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় সুরাট আদালত। জামিন পেলেও আইন অনুসারে আগামী ছয় বছর তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করতে পারবেন না তিনি।রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি (CPI)। দলটির সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার দাবি, একজোট হওয়ার সময় এসেছে। সর্বাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে এই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।
CPI সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা ঘুরে দাঁড়ানো ও একজোটে হওয়ার বার্তা দিলেও ওয়েনাড কেন্দ্রে কী হবে এই প্রশ্ন তীব্র। কারণ কেরলের এই লোকসভা আসনটিতে কংগ্রেস ও CPI এর মধ্যেই মূল লড়াই হয়ে আসছে। তবে ওয়েনাড থেকে গত এক দশকের বেশি কংগ্রেস সাংসদ নির্বাচিত হচ্ছেন। আর ভোট লড়াইয়ে CPI হচ্ছে রানার্স।
২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী উত্তর প্রদেশের আমেঠি এবং কেরলের ওয়েনাড থেকে একসাথে প্রার্থী ছিলেন। কংগ্রেসের ঐতিহ্যবাহী আমেঠিতে রাহুল গান্ধী পরাজিত হন। বিজেপির স্মৃতি ইরানি জয়ী হন। তবে ওয়েনাড থেকে কংগ্রেস সাংসদ নির্বাচিত হন রাহুল গান্ধী। এই কেন্দ্রে রাহুল গান্ধী ৪ লাখের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন CPI এর পি পি সুনেরকে।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন কেরলের মাটিতে কংগ্রেসের মূল লড়াই বিজেপির সাথে নয়। এ রাজ্য বাম জোট শাসিত। এখানে বাম শক্তির বিরুদ্ধেই কংগ্রেস নামবে। রাজনৈতিক মহলের কটাক্ষ, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিলের জন্য CPI এর ক্ষোভ প্রকাশ সম্পূর্ণ নাটক। বিরোধীদের একজোট হওয়ার বার্তা দিলেও ওয়েনাডে CPI ও কংগ্রেসের ভোট যুদ্ধ হবে।