Covid booster dose: বিতর্ক বাড়িয়ে বেসরকারি হাতে গেল করোনার বুস্টার ডোজ

করোনা (Covid) সংক্রমণের নিম্নগতি চলছে। তবে বুস্টার ডোজ (booster dose) দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। আপাতত টাকা খরচ করেই বুস্টার ডোজ নিতে হবে।…

Covid booster dose

করোনা (Covid) সংক্রমণের নিম্নগতি চলছে। তবে বুস্টার ডোজ (booster dose) দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। আপাতত টাকা খরচ করেই বুস্টার ডোজ নিতে হবে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ১০ এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার থেকে শুরু হবে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া। আপাতত বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে সকলেই করোনার প্রিকশন ডোজ নিতে পারবেন।

মোদী সরকার মানুষের পকেট কাটতেই বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে টিকারকরণে সায় দিয়েছে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ সব মানুষ টাকা দিয়ে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন কিনা সে বিষয়টি ভেবে দেখল না কেন্দ্র সরকার।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বর্তমানে নতুন করে ভয় দেখাচ্ছে ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্ট এক্স ই। সে কারণেই দ্রুত বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কিন্তু বেসরকারিভাবে কেন ডোজ নিতে হবে উঠছে সে প্রশ্ন।

সম্প্রতি দেশজুড়ে ১২-১৪ বছর বয়সিদের করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণে দেশের মধ্যে সবার আগে পশ্চিমবঙ্গ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, রবিবার সকাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১২-১৪ বছর বয়সিদের মধ্যে ১৭.৯ লাখ জন টিকা পেয়েছে। টিকা প্রদানের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের পরের দুই রাজ্য হল বিহার ও রাজস্থান। এই দুই রাজ্যে ১২-১৪ বছর বয়সিদের মধ্যে টিকাকরণ হয়েছে যথাক্রমে ১৫.৫ ও ১৫.৪ লাখ জনের। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাট এই তিন রাজ্যে ১৪ লাখের বেশি টিকা পেয়েছে।

গোটা দেশে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয়েছিল ১৬ মার্চ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয়েছিল ২১ মার্চ। অভিযোগ, কেন্দ্রের গাফিলতির কারণেই পশ্চিমবঙ্গে টিকাকরণ শুরু হতে পাঁচ দিন দেরি হয়। কিন্তু তার পরেও টিকাকরণে সব রাজ্যকে পিছনে ফেলেছে এ রাজ্য। বাংলায় ১৫ থেকে ১৮ বয়সিদের মধ্যে ২৬.২ লাখ জন ইতিমধ্যেই টিকার দুটি ডোজই পেয়েছে। ১৫ থেকে ১৮ বয়সিদের মধ্যে ৩৩.৮ লাখ জন টিকার একটি ডোজ পেয়েছে। বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রেও সবার আগে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রের তথ্য বলছে এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৯.৬ লাখ মানুষ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের প্রত্যেক নাগরিককেই দেওয়া হবে করোনার প্রিকশন ডোজ। টিকাকরণের পাশাপাশি কড়া বিধিনিষেধ জারি করে বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিনই বাড়ছে সুস্থতার হার এবং কমছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ৩১ মার্চ মধ্যরাত থেকে কোভিড সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলেও মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।