নয়াদিল্লি: ফের চিন্তার ভাঁজ! দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড পজিটিভ হয়েছেন ২০৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৯৬১ জন।
এই নতুন সংক্রমণের ঢেউয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে৷ দিল্লি, কেরল, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুতে এক জন করে মারা গিয়েছেন। এই নিয়ে নতুন বছরে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৩২।
কোন রাজ্যে কত আক্রান্ত?
সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের খবর এসেছে কেরল (১,৪৩৫), মহারাষ্ট্র (৫০৬), দিল্লি (৪৮৩), গুজরাত (৩৩৮) এবং পশ্চিমবঙ্গ (৩৩১) থেকে।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকেই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ Covid-19 cases in India
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই নতুন ঢেউয়ের পিছনে মূলত দায়ী দু’টি নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট—NB.1.8.1 এবং LF.7, যেগুলো মূলত JN.1 ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্ট থেকেই বিবর্তিত হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্ট দু’টির উৎস ভারতের মধ্যেই।
বর্তমানে করোনা পরীক্ষার পজিটিভিটির হার প্রায় ৬৪.০৮%, যা অত্যন্ত উচ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এত উচ্চ হারে পজিটিভ রিপোর্ট মানে অনেকেই সংক্রমিত হলেও পরীক্ষা না করানোর কারণে ধরা পড়ছে না।
কী বলছেন চিকিৎসকরা?
দিল্লির শালিমার বাগের ফোর্টিস হাসপাতালের পালমোনারি বিভাগের প্রধান ড. বিকাশ মৌর্য জানিয়েছেন, “আমরা এখন যেসব রোগী দেখছি, তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই সংক্রমণ মৃদু। সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।”
তবে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। “হাঁচি-কাশি, সর্দি-জ্বর বা গলাব্যথার মতো উপসর্গ থাকলে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করান, মাস্ক পরুন এবং নিজেকে আলাদা রাখুন,” বলছেন ড. মৌর্য।
ভ্যাকসিন নেই, উদ্বেগ বাড়ছে
ড. মৌর্য আরও জানান, অনেক রোগী ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী হলেও বর্তমানে টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “টিকা থাকা দরকার এবং যারা নিতে চান, তাদের জন্য তা স্বেচ্ছা-ভিত্তিতে উপলব্ধ হওয়া উচিত৷’’
Bharat: India sees a concerning rise in COVID-19 cases with 203 new infections reported in 24 hours, pushing the total to 3,961 since January 1, 2025. Four more deaths occurred in Delhi, Kerala, Maharashtra, and Tamil Nadu. New variants NB.1.8.1 and LF.7 are causing the surge, with a high 64.08% positivity rate.