আগে দেশ, পরে ব্যবসা! মার্কিন চাপে বন্ধ হবে না…

নয়াদিল্লি: আমেরিকার বাণিজ্য-যুদ্ধের চাপে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল ভারতের তেল শোধনাগারগুলি। রাশিয়া থেকে খনিজ তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতীয়…

নয়াদিল্লি: আমেরিকার বাণিজ্য-যুদ্ধের চাপে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল ভারতের তেল শোধনাগারগুলি। রাশিয়া থেকে খনিজ তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতীয় পণ্যের উপর সর্বমোট ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা। বুধবার সকাল থেকেই ট্রাম্পের হুমকি বাস্তবায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

শোধনাগারের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের কার্গো লোডিং-এ তৈল-যুদ্ধের সামান্য প্রভাব পড়লেও রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে অনড় তারা। শুল্ক অনিশ্চয়তার দরুণ গত বছর ২.৫-৩ ডলারের পরিবর্তে ব্যারেল প্রতি ১.৫-১.৭ ডলারে এ নেমেছে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল।

   

তবে সংবাদমাধ্যমকে এক শিল্প-আধিকারিক জানিয়েছেন, “সরকারের তরফ থেকে বার্তা স্পষ্ট! আগে দেশ, তারপর ব্যাবসা।” তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস, চাপে পড়ে আমেরিকার কাছে মাথা নত করার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল রপ্তানিকাররকদের জন্য কোনও না কোনও সুরাহা নিয়ে আসবেন।

ভারতের তেলশিল্পের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, রাশিয়ার তেলের দাম এবং সরবরাহ তুলনামূলক সুষম হওয়ায় আমেরিকার দাবীর কাছে মাথা নত করার প্রশ্নই ওঠে না। ভারতের এই বিকল্প চয়নের ফলে বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের বাজারে যে পরিবর্তন আসবে তা সামান্য এবং সাময়িক। এক আধিকারিক বলেন, “এই পরিবর্তনের ফলে জোগান-চাহিদায় উল্লেখযোগ্য কোনও ফারাক পড়বে না।”

Advertisements

আশঙ্কায় যে ব্যবসাগুলি

মার্কিন শুল্ক-চাপে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে টেক্সটাইল ও রেডিমেড পোশাকের বাজার। বার্ষিক রফতানি ১০.৮ বিলিয়ন ডলার। যা নতুন শুল্কে দাঁড়াবে ৬৩.৯ শতাংশ। রফতানির বাজারে ভারতকে পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম। এছাড়াও বড় ধাক্কা খাবে চামড়াজাত পণ্য, ফুটওয়্যার, কার্পেট, ওষুধ, রত্ন, গয়না, সামুদ্রিক মাছ, গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির মত সেক্টরগুলি।

 

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News