উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজাফফরনগর জেলায় শুকতীর্থে গঙ্গায় (Ganga at Shuktirtha) দূষিত জল আসার কারণে ঋষি-সাধুদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। যার জেরে ক্ষুব্ধ সাধুরা গঙ্গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন। পাশাপাশি গঙ্গাকে দূষিতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধু-সন্ন্যাসীরা।
প্রকৃতপক্ষে, মুজাফফরনগরে অবস্থিত মহাভারত যুগের তীর্থস্থান শুকতীর্থে গঙ্গা ও সোলানি নদীর জল অবিরাম প্রবাহিত হয়। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধু-ভক্তগণ গঙ্গা নদীতে স্নান করে পুণ্য লাভ করেন। ভক্তরা আরতি করে মা গঙ্গার পূজা করেন। শুকতীর্থে, যেখানে গঙ্গার জলের স্তর ক্রমাগত কমছে, সেখানে একটি সমস্যা রয়েছে। একই সঙ্গে দূষিত পানি বারবার আসার কারণে বিশ্বাস নিয়ে খেলা হচ্ছে। দূষণ দফতরের দল দূষিত জলের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে।
দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী গোপাল দাস মহারাজের নেতৃত্বে গঙ্গার কালো জল নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধু-সন্তরা গঙ্গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী গোপাল দাস মহারাজ জানান, দূষিত পানি আসার কারণে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা গেছে। স্নান না করেই ফিরে যাচ্ছেন ভক্তরা। এটি তীর্থস্থানের জন্য একটি বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়।
প্রশাসনকে প্রতিবাদ করতে বাধ্য করবেন না
সরকার ও প্রশাসনের অবহেলায় গঙ্গা নদী দূষিত হয়ে পড়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সাধু-ঋষিরা প্রতিবাদ করতে বাধ্য হবে। মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী গোপাল দাস মহারাজ গঙ্গা মাইয়াকে দূষিত এবং ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতকারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, জেলা পঞ্চায়েত সভাপতি ডঃ বীরপাল নির্ওয়াল এবং বিজেপি কিষান সেলের আঞ্চলিক মন্ত্রী অমিত রাঠি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাধুদের শান্ত করেন।