বিজেপির বিরুদ্ধে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ কংগ্রেসের

মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে দেশের বৃহত্তম ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যের সংস্থা এবিজি শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে ২২৮৪২ কোটি টাকা ব্যাংক প্রতারণার…

মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে দেশের বৃহত্তম ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যের সংস্থা এবিজি শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে ২২৮৪২ কোটি টাকা ব্যাংক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংস্থার তিন কর্ণধারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। এই জালিয়াতির ঘটনায় এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হল কংগ্রেস।

রবিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেসময় এবিজি শিপইয়ার্ডকে বিপুল পরিমাণ জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে এই সংস্থার দুর্নীতির বিষয়টি নজরে এনেছিল কংগ্রেস। কিন্তু সে কথায় আদৌ আমল দেয়নি মোদি সরকার। এমনকী, রাজ্যের বিজেপি সরকারও বিষয়টি নিয়ে ছিল উদাসীন।

   

রবিবার কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, মোদি সরকারকে উত্তর দিতে হবে এবিজি শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন পাঁচ বছর সময় লাগল। একইসঙ্গে সুরজেওয়ালা বলেন, ২০০৭ সালে গুজরাত সরকার এবিজি শিপইয়ার্ডকে সুরাতে ১ লক্ষ ২১ হাজার স্কোয়ার মিটার জমি দিয়েছিল। জমি দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি এখন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে আছেন। তাই বলা যায়, বিজেপির সঙ্গে এই প্রতারক সংস্থার একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিজেপি কখনওই এই সংস্থার কৃতকর্মের দায় এড়াতে পারে না। বিজেপির মত না থাকলে কোনওভাবেই তারা দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক কেলেঙ্কারি করতে পারত না।

প্রসঙ্গত, শনিবার সিবিআই মুম্বই, পুণে, সুরাত-সহ এবিজি শিপইয়ার্ডের ১৩টি শাখায় হানা দিয়ে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে। তারপরই সংস্থার তিন শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।