মৃত ব্যক্তিদের ঘাড়ে দোষ  চাপিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে রানা, দাবি কংগ্রেসের

 ইয়েস ব্যাংকের (Yes Bank) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলল কংগ্রেস (Congress)। এদিন দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রানা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে কথা…

 ইয়েস ব্যাংকের (Yes Bank) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলল কংগ্রেস (Congress)। এদিন দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রানা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি দলের এমন নেতাদের নাম করছেন যাঁরা আজ বেঁচে নেই। তাই তিনি দলের নেতাদের সম্পর্কে যে কথা বলছেন সেটা সত্যি কিনা তা জানার কোনও উপায় নেই। যে ব্যক্তি ৫০০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার মুখে এমন কথা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

উল্লেখ্য, গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে রানা বলেছেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছ থেকে তাঁকে ২ কোটি টাকা দিয়ে মকবুল ফিদা হুসেনের একটি ছবি কিনতে তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই টাকা নিউ ইয়র্কে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর চিকিৎসার জন্য করা হয়। অর্থ পাচার সংক্রান্ত এক মামলায় ২০২০ সাল থেকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন রানা। সেই মামলার চার্জশিটে এই তথ্য জানিয়েছে ইডি। চার্জশিট থেকে জানা গিয়েছে, রানা ইডিকে জানিয়েছেন, তৎকালীন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী মুরলি দেওরা তাঁকে বলেছিলেন, ছবিটি কিনলে তিনি সহজেই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে পারবেন।

   

‘পদ্মভূষণ’ও সম্মান পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে থাকবেন। পুরো টাকাটা তিনি চেকের মাধ্যমে দিয়েছিলেন বলেও দাবি রানার। জেলবন্দি রানা আরও বলেছেন কংগ্রেস নেত্রীর ব্যক্তিগত সচিব আহমেদ পটেলও তাঁকে একই কথা বলেছিলেন। আহমেদ বলেছিলেন, ছবিটি কিনলে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ মিলবে। তাতে পদ্ম সম্মান পাওয়ার পথ সহজ হবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকেই ইয়েস ব্যাংকের করুণ পরিণতি হয়। ২০২০ সালে ব্যাংকের শেয়ারের দাম হু হু করে পড়তে থাকে। এরপরই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের বাড়িতে হানা দেন ইডি। দীর্ঘ জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।