ভারতের রাজনীতিতে একসময় অত্যন্ত বিতর্কিত ও সংবেদনশীল ইস্যু ছিল জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা। ২০১৯ (Salman Khurshid) সালে এই ধারা বাতিল করে কেন্দ্রীয় মোদি সরকার। তখন সেই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস দল, এমনকি এই সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জও জানানো হয়। কিন্তু কয়েক বছর পর সেই একই ইস্যুতে এবার একেবারে ভিন্ন সুর শোনা গেল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদের (Salman Khurshid) গলায়।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সাংসদদের একটি প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে সলমন খুরশিদ স্পষ্টভাবে বলেন, “৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কাশ্মীরের একটি বড় সমস্যা মিটিয়ে(Salman Khurshid) দিয়েছে মোদি সরকার। দেশের বাকি অংশের সঙ্গে কাশ্মীর এখন একাত্ম হয়েছে। উন্নয়নও বেড়েছে।”
অতীত অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে প্রশংস(Salman Khurshid)
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে যখন মোদি সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে, তখন এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতায় নামেন কংগ্রেসের অনেক শীর্ষ নেতা। সলমন খুরশিদ নিজেও ছিলেন সেই(Salman Khurshid) বিরোধিতাকারীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একাধিকবার বলেছিলেন, এই সিদ্ধান্ত (Salman Khurshid) গণতন্ত্রের পরিপন্থী এবং কাশ্মীরের জনগণের মতামত না নিয়ে তা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি সেই সময় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়।
তবে এবার সুর বদলে সলমন খুরশিদের মন্তব্য, “দীর্ঘদিন ধরে(Salman Khurshid) কাশ্মীরের একটা বড় সমস্যা ছিল। ৩৭০ ধারা যতদিন ছিল, ততদিন কাশ্মীরের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিও ছিল ভিন্ন। অনেকের মধ্যেই একটা ধারণা ছিল যে কাশ্মীর দেশের বাকি অংশের থেকে আলাদা।” তিনি আরও বলেন, “এই ধারা বাতিল করার পর অবশেষে সেই ভ্রান্ত ধারণার অবসান হয়েছে।(Salman Khurshid)
কাশ্মীরে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের বার্তা
সলমন খুরশিদ আরও দাবি করেন, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর(Salman Khurshid) কাশ্মীরে একবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে, যাতে ৬৫ শতাংশের বেশি ভোটার অংশ নিয়েছেন। তাঁর মতে, এটি কাশ্মীরবাসীর গণতান্ত্রিক চেতনারই প্রমাণ। তিনি বলেন, “আজ সেখানে নির্বাচিত সরকার চলছে। মানুষ এখন আগের ঘটনা ভুলে গিয়ে উন্নয়নের দিকে এগোতে চাইছে। উপত্যকা উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে।(Salman Khurshid)
এই মন্তব্যে যদিও মোদি সরকারের নাম করে সরাসরি প্রশংসা করা হয়নি, তবে ইঙ্গিতে স্পষ্ট, কংগ্রেস নেতা এখন ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলাফলকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।(Salman Khurshid)
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন(Salman Khurshid)
এই মন্তব্য ভারতের রাজনৈতিক মহলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, এতদিন ধরে কংগ্রেস দল ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এসেছে।(Salman Khurshid) যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেওয়া হলে, কংগ্রেস দল পরবর্তীকালে আর সক্রিয়ভাবে বিরোধিতা করেনি। এখন দলের শীর্ষ নেতার মুখে এই ধরনের প্রশংসাসূচক বক্তব্য সেই অবস্থান বদলের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে(Salman Khurshid)
সলমন খুরশিদের এই বক্তব্য শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক অবস্থান বদল নয়, বরং এটি কাশ্মীর সম্পর্কে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার(Salman Khurshid) নিয়ে আজও রাজনৈতিক বিতর্ক থাকলেও, বাস্তব পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং কাশ্মীরবাসীর অংশগ্রহণমূলক মনোভাব অনেক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতি ও দৃষ্টিভঙ্গিও বদলায়—এই মন্তব্য সেই বদলেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন(Salman Khurshid)